ক্লাসে ‘আপত্তিকর চিত্র’ ব্যবহারের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হকের সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যর পাদদেশে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে অধ্যাপক রিয়াজের ওপর ‘অন্যায়ভাবে আরোপিত ভিত্তিহীন অভিযোগ, সাময়িক বহিস্কারাদেশ ও বিভাগীয় সকল ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অচিরেই এ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাব-রেজিস্ট্রার হাসিন রায়হান বলেন: একজন বন্ধুসুলভ শিক্ষক এ পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন, তা মেনে নেয়া যায় না।
অধ্যাপক রিয়াজ ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মেন্টর ও গাইড স্বরুপ’ উল্লেখ করে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী জয়নুল আবেদিন জয় অভিযোগ করেন: ‘রিয়াজ স্যারের সাময়িক বহিষ্কারের পক্রিয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে করা হয়েছে’। এর প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে আসা এনজিও কর্মকর্তা সুম্মিতা পদ্ম বলেন: রিয়াজুল হক স্যার অত্যন্ত বন্ধুসুলভ ও উদার মনের মানুষ। ক্লাসে তার বহুমাত্রিকা ও জ্ঞানগভীর আলোচনামূলক শিক্ষাদান পদ্ধতি জেন্ডার বিষয়ক জ্ঞান অর্জনে খুবই সহায়ক।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি কমিশনের সহকারি পরিচালক আকরাম হোসেন, তায়েফ ইফরাত শাহেদ, শামস আরেফিন প্রমুখ।
শ্রেণিকক্ষে একটি প্রফেশনাল ব্যাচে জেন্ডার বিষয়ক একটি কোর্সে ‘আপত্তিকর চিত্র’ ব্যবহারের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপককে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
অভিযোগ তদন্তে উপ-উপচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনি আবার নিজ পদে পুনর্বহাল হবেন নাকি স্থায়ী বহিষ্কার হবেন তা নির্ভর করছে তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন