ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ফিল্ম সিটি ‘ফিল্ম ভ্যালি’। ১ জুলাই থেকে শুটিং উপযোগী করে শুটিং স্পটটি চালু হয়েছে। রাজধানী থেকে যেখানে যেতে সময় লাগবে মাত্র ১ ঘণ্টা। সবুজের সমারোহে সাড়ে তিন একর জায়গা জুড়ে শুটিং স্টুডিওটি তৈরি করেছে গল্পাকার এন্টারটেনমেন্ট।
সাড়ে তিন বছর ধরে কাজ শেষে বর্তমানে স্টুডিওটি পুরোপুরি শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন ফিল্ম ভ্যালির কনসালটেন্ট ইসমাইল হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, শুটিংয়ের জন্য এফডিসিতে একাধিক ফ্লোর থাকলেও আউটডোরের জন্য অন্য জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু ফিল্ম ভ্যালিতে ফ্লোর, আউটডোর সবকিছুই একজাগায় রেখেছি।
”ছোটখাটো এক ফিল্ম সিটি গড়েছি, যেটি পুরোপুরি আন্তর্জাতিকমানের। এখানে কর্পোরেট অফিস, আদালত, হাসপাতাল, রেস্টুরেস্ট, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত গল্পের উপযোগী শুটিং লোকেশনের প্রয়োজনীয় সবকিছুই আলাদা আলাদা স্টুডিও আছে। পুরো ইউনিট নিয়ে এখানে রাত্রিযাপন করে শুটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।”
ইসমাইল হোসেন নয়ন বলেন, লকডাউনের কারণে ফিল্ম ভ্যালিতে শুটিং শুরু হয়নি। তবে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। ইতোমধ্যে বুকিং নিচ্ছি। এখানে সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, ওভিসি, রিয়্যালিটি শোসহ ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার যাবতীয় শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করেছি। তবে কোনো টিকটক, লাইকি অ্যাপের কোনো ভিডিওর শুটিং এখানে হবে না।
দৈনিক ভাড়ার বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে। চূড়ান্ত ভাড়া নির্ধারণ হয়নি বলে জানান ফিল্ম ভ্যালির কনসালটেন্ট ইসমাইল হোসেন নয়ন। তিনি বলেন, যেহেতু নতুন তাই আমরা এখনো ভাড়া নির্ধারণ করিনি। শুরুতে বিনিয়োগকারী খুঁজে পাইনি। বড় একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলেও ফিল্ম সিটি তৈরিতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে আর্থিক বিনিয়োগ করেন এএসএম হায়দার। সঙ্গে প্রজেক্ট পরিকল্পনাকারী, এক্সিকিউশন করছে গল্পাকার এন্টারটেনমেন্ট।
অত্যাধুনিক এই ফিল্ম সিটির ১১টি স্টুডিওর নামকরণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী শিল্পীদের নামে। আছে নায়করাজ রাজ্জাক ফ্লোর, চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর, জহির রায়হান স্টুডিও, চিত্রনায়ক সালমান শাহ স্টুডিও, চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল, কবরী শুটিং ফ্লোর কিংবা স্টুডিও, মহানায়িকা সুচিত্রা সেন মেকআপ রুম।