Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে জাবি শিক্ষকদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’।

বুধবার দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় প্রয়াত বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত শিক্ষকরা।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শিক্ষকরা বলেন: ওয়াজেদ মিয়া শুধু একজন বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে ছাত্রনেতা, লেখক ও রাজনীতিবিদ। তিনি দেশ, জাতি ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এমন একজন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মান দিতে রাষ্ট্রের কাছে যথাযথ আহ্বান জানান তারা।

বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব ও শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন: পরমাণু বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাম যিনি সারা বিশ্বের উজ্জ্বল করেছেন তিনি হলেন ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়া। দেশের পরমাণু গবেষণাকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন এক অনন্য উচ্চতায়। দীর্ঘ গবেষণার সুবাদে তিনি নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আবদুস সালামসহ পৃথিবীর খ্যাতিমান বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সামনে একটি মুর‌্যাল স্থাপনের দাবি জানান বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকবৃন্দ। সেইসাথে এই গবেষণা কেন্দ্র দ্রুত সময়ে পূর্ণাঙ্গ করার পাশাপাশি যথাযথভাবে গবেষণা কাজ করার দাবি জানানো হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. হানিফ আলী, প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন’সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া তার মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তিনি তার কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তিনি ২০০৯ সালের ৯ মে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Exit mobile version