বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা আর বন্যা সমস্যার সঙ্গে শুরু হয়ে আরও এক সমস্যা। মশা এবং মশা থেকে ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া। বরাবরের মত এবারও সেই সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বৃষ্টি থেকে শহরে জলাবদ্ধতা শেষে উত্তরে বন্যা আর শহরকেন্দ্রিক সমস্যা ডেঙ্গু। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবারের এই সমস্যার ব্যাপ্তি বিশাল, ভোগান্তির শিকার মানুষের সংখ্যাও তাই বেশি। মানুষের ভোগান্তিই কেবল নয়, এবার অন্য যেকোনো বছরের চাইতে বন্যা ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যাও বেশি। এটা উদ্বেগের, তারচেয়ে বেশি উদ্বেগের দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতা কিংবা প্রকৃত তথ্য লুকিয়ে রাখার প্রবণতা। তথ্য গোপনের এই চেষ্টার (প্রকৃত অর্থে অপচেষ্টা) ফল যে কতখানি মারাত্মক তার মাশুল গুনছে দেশবাসী, ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষত ঢাকাবাসী।
প্রতিবারের মতো এবারও ডেঙ্গু বড় ধরনের আঘাত হেনেছে রাজধানী ঢাকায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি করতে পারছে না, সিট খালি নাই নোটিস টানিয়ে রেখেছে অনেকগুলো বেসরকারি হাসপাতাল। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সিট খালি নাই নোটিস টানিয়েছে মূলত তাদের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তির অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে। ফলে অনেক রোগী এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। এদিকে, সরকারি হাসপাতালগুলোর সিট খালি নাই লিখার সুযোগ নাই। সিট খালি না থাকলেও তাদেরকে রোগী ভর্তি করাতে হচ্ছে। ফলে হাসপাতালের মেঝেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা তাদের দিতে হচ্ছে।
দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্তত ৫০টি জেলায় ডেঙ্গু জ্বর বিস্তার লাভ করেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য। এই তথ্যের বাইরেও অন্তত ১০ জেলা আছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর। সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও এক অঙ্কের বলা হলেও এই সংখ্যা ত্রিশ ছাড়িয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে হিসাবে প্রকৃত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে মূলত তাদের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপ্তির হিসাবে, কারণ কেবল রাজধানীতেই যেখানে সাড়ে তিনশ’র বেশি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে সেখানে তারা তথ্য নিচ্ছে মাত্র ৩৫ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে যার পুরোটাও নিয়মিত নয়। এ চিত্র সারাদেশেরই। ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ডেঙ্গু পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র হওয়ার কথা না। এক্ষেত্রে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপ্তি বাড়ানো উচিত।
এডিস মশার প্রজননের সময়কালের আগেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সতর্ক করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে দৃশ্যমান। উপরন্তু দুই সিটির মেয়রই ডেঙ্গুর প্রকোপকে অস্বীকার করে গেছেন। এমনকি ঢাকা দক্ষিণের মেয়র এই ঘটনাকে গুজব বলে মন্তব্য করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইন-আদালত দেখিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। যদিও তিনিই শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও তার এই বোধোদয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সেতুমন্ত্রীর মুখ দিয়ে প্রকাশের পর।
গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মার্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিস সার্ভের প্রতিবেদনে দেখা গেছে শুষ্ক মৌসুমেও যথেষ্ট এডিস মশা আছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে চিকিৎসকদের সচেতন করতে চিঠিও পাঠানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ডেঙ্গু পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অধিদপ্তর এজন্য দুই সিটি করপোরেশন ও হেলথ এডুকেশন ব্যুরোর যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ায় অভিযোগ করেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা কত এনিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। সরকারি আর বেসরকারি দুই হিসাবের গরমিল এখানে স্পষ্ট। মৃতের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ থাকলেও ডেঙ্গুতে এবার অন্য বছরের তুলনায় মানুষ যে বেশিই মারা যাচ্ছে সেটা সত্য। মৌসুম শুরুর এই সময়েও যদি এত এত মানুষ আক্রান্ত ও মারা যায় তবে মৌসুমের শেষে এই সংখ্যা কত গিয়ে দাঁড়ায় কে জানে!
এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যুর এই বিষয়টিকে এতখানি অবহেলা করা উচিত নয়। এমন না যে এবারই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। গত বছরও ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরিসংখ্যানে গত বছরে ১০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলা হলেও সরকারি এই হিসাবের চাইতে প্রকৃত সংখ্যা বেশি হওয়ারই কথা। তবু কেন দায়িত্বশীলরা এনিয়ে সচেতন হলেন না, কেন কার্যকর উদ্যোগ নিলেন না- এটাও প্রশ্ন। এবারতো ইতোমধ্যেই গত ১০ বছরের আক্রান্তের সরকারি হিসাবটা ছাড়িয়ে গেছে।
দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, মশক নিধনের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান দুই সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র শুরু থেকেই ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে অস্বীকার করে গেছেন। তারা ওখানে রাজনীতি খুঁজেছেন, খুঁজে পেয়েছেন গুজবের আজগুবি তথ্যও। মশা মারতে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে সভা-সমাবেশ-সেমিনারে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় পরিস্থিতিকে অস্বীকার করে গেছেন। এক আইনজীবীর স্ত্রী ডেঙ্গুতে অসুস্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে মেয়রের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হলে তিনি ফলমূল নিয়ে সেই আইনজীবীর বাসায় গিয়েছেন, আবার ফিরে এসে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে অস্বীকারও করে গেছেন। তীব্র গরমে একদিকে স্যুটেড-ব্যুটেড হয়ে মশা মারতে কামান দাগার চিত্রের চিত্রায়ণ করে গেছেন একদিকে আবার অন্যদিকে এডিস মশা ও ডেঙ্গুকে বলেছে গুজব। উত্তরের মেয়রের অবস্থাও একই। মিডিয়ায় কম কথা বললেও তিনি যার বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যাবে তাকে আইনের ভয় দেখিয়েছেন। মেয়র বাসাবাড়ির লোকজনের প্রতি অভিযোগের অঙ্গুলি তুলে মূলত তার প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা ঢাকতে চেয়েছেন।
মশা নিয়ে দুই মেয়রের দায়িত্বহীন কথাবার্তা ও দায়িত্বে অবহেলা কেবল তাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীই যেসব কথা বলেছেন সেগুলোও মেনে নেওয়ার মত নয়। তিনি এডিস মশাকে জোরপূর্বক বিতাড়িত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরনের বর্ণবাদী মন্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। ঢাকায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের দেশে হঠাৎ করে কেন এত ডেঙ্গু রোগী? একটি সিম্পল উত্তর আমার পক্ষ থেকে, সেটা হলো—মশা বেশি, এডিস মশা বেশি। সে মশাগুলো অনেক হেলদি, অনেক সফিসটিকেটেড। তারা শহরে, বাড়িতে থাকে—এটাই উত্তর। যেহেতু প্রোডাকশন বেশি, তাই মশা বাড়তেছে। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন বাড়ে আমাদের দেশে এসে, সেভাবে মশার পপুলেশন বেড়ে যাচ্ছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব বলেই থামেননি। তিনি ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যুকে আরও হালকা করতে আরও বলেছেন, ‘প্রতিদিন দুর্ঘটনায় ১৫ জন মারা যায়। প্রায় ১০ জন লোক রোজ সাপের কামড়ে মারা যায়। আর কয়েক মাসে মাত্র ৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। আমরা এসব খবর রাখি না।’
সিটি করপোরেশনের মশার ওষুধের কার্যকারিতা নেই বলে পরীক্ষা করে জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি। তবে এই তথ্যকে অস্বীকার করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। তার দাবি, ‘পুরোপুরি না হলেও মশার ওষুধের কার্যকারিতা আছে’। আর এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম মেয়রের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেছেন, ‘আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি ওষুধ ঠিক আছে’। মন্ত্রীর আরও দাবি, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’। যদিও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সঙ্গী মহাজোটের শরিক সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘ওষুধ কেনা দুর্নীতি ও অদক্ষতা ঢাকতে মেয়র ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকে গুজব বলছেন’। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, দলীয় মেয়রদের এই ব্যর্থতা ঢাকার অপপ্রয়াসের বাইরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এসেছিল। এরপর থেকে ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে’। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি মিশিয়ে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘সরকার বিএনপির লোকজনকে মারতে পারে কিন্তু এডিস মশা মারতে পারে না’।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় একে একে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে তখন সরকারের মন্ত্রী-মেয়র আর রাজনীতিবিদরা অভিযোগ আর অস্বীকার তত্ত্বে মনোযোগী তখন লন্ডনে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার তথ্য আসে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মুখ দিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ ডেঙ্গু ভয়ে আছে। আমাদের সবার উচিত দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা এবং ঠিকমত কাজ করা’। সেতুমন্ত্রীর মুখ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আসার কথা জানানোর পর আদতে ঢাকার দুই মেয়র ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে স্বীকার করে নিয়েছেন। ধারণা করা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানানো না হলে মেয়রদ্বয় ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে স্বীকারই করতেন না, আর স্বীকার না করলে উদ্যোগী হতেন না।
এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ নাগরিক, চিকিৎসক, সিভিল সার্জন থেকে শুরু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের স্ত্রীও মারা গেছেন। পরিস্থিতি কতখানি ভয়াবহ হলে এমন হতে পারে? এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রীও আ হ ম মোস্তাফা কামালও। গত জুনে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় সংসদে বাজেট উত্থাপন করতে পারেননি। অর্থমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে বাজেট উত্থাপন করতে হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা ও মশা সম্পর্কে জানাতে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত দুইবার মশা কামড় দিয়েছে। একবার চিকুনগুনিয়া আরেকবার ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর কী যন্ত্রণা আমি বুঝি; আল্লাহ যেন কারও ডেঙ্গু না দেয়’!
মশা নিধনে সমভাবে ব্যর্থ হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের হুঁশিয়ারি কারও বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেবল বাসাবাড়িতেই এডিসের লার্ভার উপস্থিতি- মেয়রের ইঙ্গিতে স্পষ্ট। কিন্তু খোদ অর্থমন্ত্রী যেখানে মশার ভয়ে সচিবালয়ে যেতে রাজি নন, কারণ ওখানে তাকে দুইবার মশা কামড়িয়েছে। উত্তরের মেয়র কি তবে মনে করছেন ঢাকাবাসী কেবল বাসাবাড়ির মশার দ্বারাই আক্রান্ত হচ্ছেন? অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতা ও বক্তব্য মেয়রের সেই দাবি ও ইঙ্গিতকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী-মেয়ররা রাজনীতি, আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকৃত তথ্য গোপন করলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে সময় নিচ্ছে না। মশা বুঝে না, বুঝতেও চায় না মন্ত্রী-মেয়রদের রাজনীতি। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
এই পরিস্থিতির উত্তরণ দরকার। দরকার দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে অবহেলায় এত এত মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে হালকা করে দেখার উপায় নাই। সরকারের উচিত হবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের মেয়র, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা যত প্রভাবশালীই হোন না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে ভবিষ্যতে এই ধরনের অনাহূত মৃত্যুঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তা না হলে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় মৃতরা কেবল সংখ্যা হিসেবেই আমাদের সামনে উপস্থাপিত হবে। আমরা স্রেফ সংখ্যা গুনতে চাইনা!
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)