ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে হলে হলে চলছে ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে হল সংসদের ফলাফল হলে আর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ১৯৮১ ভোটের মধ্যে ১০৩৬ ভোট গণনা হয়েছে।
এরআগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল এবং রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করার পর পুনরায় আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ওই দুটি হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র গুলোতে দুপুর ২ টায় শেষ হয়।
দুপুর ২টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রের লাইনে এসে দাড়িয়েছে তারা ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
কিছু অনিয়মের কারণে রোকেয়া হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে বিকেল তিনটায়। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খালি ব্যালট বাক্স দেখিয়ে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে কুয়েত মৈত্রী হলে নতুনভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
তিনটি ব্যালট বাক্স সরিয়ে রাখার অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলাকে কেন্দ্র করে বেলা ১২টার দিকে বেগম রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। এই বিশৃঙ্খলার মাঝে কোটা আন্দোলনকারী প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী নুরুল হক নূর মারধরের শিকার হন। তার অভিযোগ, ছাত্রলীগ প্যানেলের লোকজন তাকে আঘাত করেছে।
সোমবার সকাল ৮টায় প্রায় সব হলে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হলেও রোকেয়া হলে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছিল ভোট। এর কিছুক্ষণ পরই একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করতে থাকেন যে, তিনটি ব্যালট বাক্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ব্যালট নিয়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ডাকসু নির্বাচন বর্জন করে স্বতন্ত্র জোট অরণি-শাফী প্যানেল।
এরপর ভোট বাতিল করে পুনঃতফসিল দাবি করে স্বতন্ত্র, বাম প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ ৪টি প্যানেল। ভোট বর্জন করে ছাত্রদলও।
প্রগতিশীল ছাত্রজোট, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ডাকসু নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সাথে নির্বাচন আবার অনুষ্ঠানের দাবির জানিয়েছে তারা।