সেঞ্চুরির পরদিন খানিকটা স্বস্তি ডলারের দামে। খোলা বাজারে দেশের ইতিহাসে ১ম বারের মতো ১০২ টাকায় বিক্রির রেকর্ডের ১ দিনের মাথায় ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৮ টাকায়। বিক্রেতাদের আশা এ সপ্তাহে দাম আরও কমবে। ব্যাংকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরও বিচক্ষণ এবং তড়িৎ সিদ্ধান্ত আশা করেছেন, একইসাথে কোন গোষ্ঠী ডলার নিয়ে শেয়ারবাজারের মত ফাটকাবাজির সুযোগ নিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম ৮৮ টাকার নীচে আছে, পরিস্থিতি সতর্ক নজরে আছে তাদের।
ডলারের দাম নিয়ে শেয়ারবাজারের মতো যেন জুয়া খেলা না হয় সেটা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচঞ্জ ডিলার্স এসোসিয়েশন বাফেদা সভাপতি আতাউর রহমান প্রধান। তিনি বলেছেন, যারা একশ টাকার কথা বলে লেনদেন করছে তারা হয়তো নিজেরাই নিজেদের মধ্যে ডলার কেনাবেচা করছে। শেয়ারবাজারের মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। সাধারণ ডলার ক্রেদার প্রত্যাশা জাগিয়ে তুলছে। এ পরিস্থিতে পড়ে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা যারা লোভে পড়ে ডলার কিনছে।
আতংকিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলারের চাহিদা বেশি থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি দিয়েছে।
মঙ্গলবার খোলা বাজারে ডলারের দাম চড়ে ১০২ থেকে ১০৩ টাকা পর্যন্ত। মানি এক্সচঞ্জ ঘুরে ঘুরে অনেকেই ডলার না পেয়ে ফিরে গেছেন এমনটাও হয়েছে।
ডলার বিক্রেতা চাহিদা এবং যোগানের ফারাকের সুযোগে পরিস্থিতি এমন হয়ে যে এয়ারপোর্টে রাষ্টায়ত্ত্ব কোন কোন ব্যাংকের শাখা খানিক সময় ডলার বেচা-বিক্রি বন্ধ করে দেয়।