ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় প্রকৃত দুষ্কৃতিকারীদের খুজে বের করে সরকার শাস্তির আওতায় আনবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সুপ্রিম কোর্টে ১৪ তলা নতুন ‘রেকর্ড ভবনের’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
একের পর এক নেত্রকোনার ট্রেনে দুষ্কৃতিকারীদের হামলার বিচার হওয়া উচিৎ কি না? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যারা দুষ্কৃতিকারী তাদের তো বিচার অবশ্যই হওয়া উচিৎ। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস বলে কথা না, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস হলে একই কথা হতো, নোয়াখালী এক্সপ্রেস হলেও একই কথা হত। মানুষের উপর যারা আক্রমণ করে তাদের মনুষত্ব আছে কিনা? সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। আশাকরি সরকার প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে শাস্তির আওতায় আনবে।’
সম্প্রতি ট্রেনে কয়েকটি ‘নাশকতার’ মধ্যে স্বল্প সময়েই দুইবার আক্রান্তের শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। দুই ঘটনায় পাঁচজনের প্রাণহানির পেছনে নাশকতার কথা বলেছে পুলিশ। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়াও গত দুই মাসে রেলপথে অন্তত ১৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামের পাশে ১১ তলা নতুন ‘রেকর্ড ভবনের’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর, বিচারপতি মো. খায়রুল আলম, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ও স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।