চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই হতাশার হার

চট্টগ্রাম থেকে: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের শুরুতেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে মুমিনুল-মুশফিকরা শুরু করল নতুন টেস্ট-চক্রের অভিযান।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান টপকে গেছে সহজেই, মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই বড় ব্যবধানে হার লেখা হয়ে যায় টাইগারদের ভাগ্যে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

শেষদিনের সকালের সেশনের শুরুতে বোলিংয়ে দরকার ছিল চমকপ্রদ কিছুর। সেটি হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়া তাইজুল ইসলামও শুরুতে ছিলেন নির্বিষ। দিনের শুরুর দিকের ওভারে এ বাঁহাতি স্পিনারকে টানা তিনটি চার মারেন পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলি। পরে তাইজুলই তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন। এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে পাঠান ৯১ রানে।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিন অঙ্কের খুব কাছে ছিলেন আবিদ। ১৪৮ বলে ১২টি চার মেরে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন। জয় থেকে পাকিস্তান তখন ৩১ রান দূরে।

অধিনায়ক বাবর আজম ১৩ ও আজহার আলী ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

আগেরদিন ১০৯ রানে অবিচ্ছিন্ন ছিল পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। জয় থেকে ৯৩ রান দূরে থেকে শেষদিনে দলীয় দেড়শ পেরিয়ে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় সফরকারীরা। মেহেদী মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন অভিষিক্ত ওপেনার। ১২৯ বলে ৮টি চার একটি ছয়ে খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে মুমিনুল হকদের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। ৭টি টেস্ট খেলে জয়হীন বাংলাদেশ একটি ড্রয়ের সুবাদে মাত্র ২০ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছিল টেবিলে নবম। এবারেও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ।

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। সিরিজ শেষে বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানেও খেলবে দুটি টেস্ট। কিউই কন্ডিশনে কোনো সংস্করণেই এখনও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ।

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে ২ বছরের চক্রে বাংলাদেশ যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সাউথ আফ্রিকায়। বাংলাদেশে আসবে ভারত, শ্রীলঙ্কা।

সামনের পাঁচটি সিরিজেই বাংলাদেশের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। করোনার কারণে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে অবনমন ছিল না। এবার কার্যকর হবে সেটি।

শুরুর ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও লিটন দাসের সেঞ্চুরি (১১৪) ও মুশফিকুর রহিমের নার্ভাস নাইনটিজে (৯১) বাংলাদেশ পায় ৩৩০ রানের পুঁজি। হাসান আলি নেন ৫ উইকেট।

জবাবে পাকিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলে দেড়শ রান। সেখান থেকে তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। বাংলাদেশ পায় ৪৪ রানের লিড।

পরের ইনিংসেও ধুঁকেছে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। ৪৩ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। লিটনের ফিফটিতে ১৫৭ রান করতে পারে মুমিনুলের দল। শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৫ উইকেট। পাকিস্তান পায় ২০২ রানের লক্ষ্য। তাদের ওপেনিং জুটিই ভাঙে ১৫১ রানে। সহজেই লিড নেয় (১-০) দুই টেস্টের সিরিজে।