কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) – এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, তারা ইয়াবা কারবারি।
ঘটনার সময় ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি দেশীয় এলজি, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, শনিবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ/৩৯ ব্লকের বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ ছেলে মো: ফেরদৌস (৩০) ও একই ক্যাম্পের এইচ/২০ ব্লকের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)।
টেকনাফ ২নং বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিওপির সদস্যরা সীমান্তে টহল দেয়ার সময় ওই এলাকার মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে মিয়ানমার থেকে কিছু লোক সাতরীয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।’
‘‘সে সময় দায়িত্বরত বিজিবি’র সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় বিজিবি’র তিনজন সদস্য আহত হয়। কোন উপায়ন্তর না দেখে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি’র সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। এভাবে ৪ থেকে ৫মিনিট গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পাচারকারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা যার বাজার মূল্য (৬ কোটি ৩০ লাখ), ১টি দেশীয় এলজি বন্দুক, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১টি ধারালো কিরিচ সহ ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তাদের পরিচয় শনাক্তের পর দ্রুত তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’’
মৃতদেহ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। জব্দকৃত ইয়াবা ও অস্ত্র টেকনাফ সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে।