টানা দুই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে গেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। মঙ্গলবার শুভাগত হোমের ব্যাটিং ঝড়ের পর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২২ রানে জেতে শাইনপুকুর।
১ মার্চ মিরপুরে হবে সেমিফাইনাল। সেখানে শাইনপুকুরের মুখোমুখি হবে ডি গ্রুপের শীর্ষ দল। ‘ডি’ গ্রুপে আছে- প্রাইম দোলেশ্বর, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও বিকেএসপি।
তৌহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৬৬ ও শুভাগত হোমের ১৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে শাইনপুকুর ১৯২ রানের বড় পুঁজি পায়। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রানে থামে মোহামেডানের ইনিংস।
১৯৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই হয় মোহামেডানের। চার ওভারে ৪৬ রান তোলার পর ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর দ্রুত চার ব্যাটসম্যান আউট হওয়ায় ম্যাচ হাতছাড়া হয় মোহামেডানের। ২১ রান করে মোহাম্মদ আশরাফুল ও ১৬ রানে অধিনায়ক রকিবুল হাসান ফেরার পর দাঁড়াতে পারেননি নাদিফ চৌধুরী (১) ও সোহাগ গাজীও (১)।
শেষ দিকে ইরফান শুক্কুর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সঙ্গীর অভাবে কাজটা শেষ করতে পারেননি। ২৯ বলে সাতটি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন শুক্কুর। বাকিদের ব্যাট থেকে রান না আসায় ২২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডানকে।
শাইনপুকুরের হয়ে সোহরাওয়ার্দী শুভ, সুজন হাওলাদার ও হামিদুল ইসলাম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে প্রথম ব্যাট হাতে ঝড় তোলে শুভাগত হোম। আগের ম্যাচে ১০ বলে ৩২ রান করার পর এই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেন ১৬ বলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়ে অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।
দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি এখন শুভাগতর। তার চেয়ে ৩ বল বেশি খেলে ফিফটি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জ সিরিজে জাতীয় দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলের হয়ে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন এ বাঁহাতি। ৬ বছর পর সে রেকর্ড ভাঙলেন শুভাগত।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নামেন ৬ নম্বরে। মাত্র ১৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি ছয় ও ৪টি চারের মার। তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে শুভাগতর পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছন্ন জুটিতে শেষ ২৮ বলে আসে ৮৭ রান।
হৃদয়ের অপরাজিত ৬৬ ও শুভাগতর ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে শাইনপুকুর পায় ৯২ রানের বড় পুঁজি।