Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

টাঙ্গাইলে রুপা হত্যা মামলার চার্জশীট দাখিল

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৫০ দিন পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী রোববার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান: এ ঘটনায় ছোঁয়া পরিবহনের গ্রেফতারকৃত সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা, ২০১ ধারায় লাশ গুম এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশীটে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে রুপাকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে তাকে সনাক্ত করেন। ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রুপাকে হত্যার পর ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকরা স্বাভাবিক ছিল। এমনকি ঘটনার পরদিন থেকেই তারা স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারি শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।

২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারি শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন মাথায় আঘাত জনিত কারণে রুপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর আগে রুপাকে ধর্ষণ করা হয়।

Exit mobile version