কিংবদন্তি টিভি ব্যক্তিত্ব, ‘ল্যারি কিং লাইভ’ খ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ল্যারি কিং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
‘ওরা মিডিয়া’ কোম্পানির বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার্স-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এই মিডিয়া কোম্পানটির সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ল্যারি কিং। তার মৃত্যুর পর ‘ওরা মিডিয়া’ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ল্যারি কিং দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। জানুয়ারির শুরুতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। কয়েকবার হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল। এমনকি ১৯৮৭ সালে কুইন্টাপল বাইপাস সার্জারি করা হয় তার শরীরে।
ওই ঘটনা ল্যারি কিংকে কোনো বীমা ছাড়াই মানুষকে সহায়তা দিতে ‘ল্যারি কিং কার্ডিয়াক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রাণিত করে। ২০১৭ সালে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে সফলভাবে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
‘ওরা মিডিয়া’ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ল্যারি রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়ায় দীর্ঘ ৬৩ বছর কাজ করেছেন। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে করেছেন প্রায় ৫০ হাজারের বেশি টকশো। অন্যন্য উপস্থাপনা শৈলি ও মেধার জন্য পেয়েছেন বিশ্বখ্যাতি ও নানা ধরনের পুরস্কার।
ল্যারি কিং ২৫ বছর ধরে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এর জনপ্রিয় টকশো ‘ল্যারি কিং লাইভ’ উপস্থাপনা করেন। মূলত এই টকশো-ই তাকে বিশ্ববিখ্যাত করে তুলেছিল।
৬৩ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অসংখ্য রাজনীতিবীদ ও সেলিব্রেটিদেরে ইন্টারভিউ করে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেন মার্কিন এ টকশো কিংবদন্তি।
তার শুরুটা হয়েছিল ১৯৭০ এর দশকে। সেই সময় রেডিও অনুষ্ঠান ‘দ্য ল্যারি কিং শো’ তাকে বিশাল পরিচিতি এনে দেয়।
১৯৮৫ সালে সিএনএন-এ শুরু করেন ‘ল্যারি কিং লাইভ’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা। ২০১০ সাল পর্যন্ত চলে এই টকশো। দীর্ঘ ২৫ বছরে তিনি রাজনীতিক, ক্রীড়াবিদ, বিনোদন ব্যক্তিত্বসহ বহু অতিথির সাক্ষাৎকার নেন।
‘ইউএসএ টুডে’তে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কলামও লিখেছেন ল্যারি কিং। অসুস্থ হওয়ার আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিতে ‘ল্যারি কিং নাও’ নামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন তিনি।