Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

জেয়াদ আল মালুমের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি-আইনমন্ত্রীর শোক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা জেয়াদ আল মালুমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান বিচারপতি তার শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আইনমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা জেয়াদ আল মালুম ছিলেন একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রসিকিউটর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ, সদালাপী ও সাদা মনের মানুষ। ট্রাইব্যুনালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। তার মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বিরাট শূন্যতা তৈরি হলো।

অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম শনিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত ২৫ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আজম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

টাঙ্গাইল সদরের করোটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী জেয়াদ আল মালুম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। সেই থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

Exit mobile version