ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন আদালত। তার আইনজীবীরা জামিননামা দাখিল করায় বিকেলে মুক্ত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম জামিনের এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে রোববার বিকেল ৩টার দিকে তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক নূরে আলম। দুই পক্ষের শুনানি শেষে শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তার আইনজীবীরা জামিননামা দাখিল করলে তিনি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের হাজত থেকে মুক্তি পান।
শনিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব-৪)। পরে তাকে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শনিবার দুপুরে খালেদার জিয়ার নিরাপত্তা টিম সিএসএফ (চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স) এর কর্মকর্তা ইসহাক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় সোপর্দ করে র্যাব-৪। তাদের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একই মামলায় রাতে মেজর হাফিজকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা হাফিজ ও কর্নেল ইসহাক পরস্পরের যোগসাজশে সরকার ও সরকারি সংস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে ওই মামলাটি দায়ের করেছে র্যাব।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজউদ্দিন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ‘সংস্কারপন্থী’ অংশের মহাসচিব ছিলেন। এর আগে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন।