জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করার দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রগতিশীল ছাত্র জোট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সকল ফি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার আমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছে এবং পরবর্তী বছর রাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের আশ্বাস দিলেও বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বরং গত ২ বছর ধরে নতুন করে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিভাগন উন্নয়ন ফি’সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার অর্থসংস্থান করার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের না। এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। প্রশাসনও এ ব্যাপারে আমাদের সাথে একমত। যখন নীতিগত জায়গায় বিষয়টি মীমাংসিত তখন কেন অবৈধভাবে ফি আদায় বাতিল করছে না?
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, এই যৌক্তিক দাবির সমর্থনে আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী আমাদের দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রশাসন যদি রাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে না পারে শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনের সাথে রাষ্ট্রের কাছে যেতে প্রস্তুত। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ এবং সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ চাই। কিন্তু প্রশাসনে পক্ষ থেকে আমরা বারবার সদিচ্ছার ঘাটতি লক্ষ্য করছি। তাই আমরা এ কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে প্রগতিশীল ছাত্রজোট গত মঙ্গলবার বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি ও গণস্বাক্ষর প্রদান করে। এতে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগের উন্নয়নের নামে যে টাকা নেয়া হয় তা ১৯৭৩ সালে প্রণীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের সাথে সংগতিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই অর্থ যুক্ত হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির প্রতিবেদনেও এই অর্থের কোনো হিসাব থাকে না। বিভাগ উন্নয়নের নামে যে অর্থ বিভাগগুলো নেয় তার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই পরিস্থিতির নিরসন চায়।