জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বনেতাদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে এক আবেগঘন ভাষণ দিয়েছেন সুইডিশ কিশোরী পরিবেশবাদী গ্রেটা থানবার্গ।
তিনি অভিযোগ করেছেন, জলবায়ু সংকট নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার স্থবির থেকে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে।
চলমান জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পাশাপাশি সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু বিষয়ক ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট, ২০১৯’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ১৬ বছর বয়সী গ্রেটা।
ভাষণে তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ভয়াবহ হারে বেড়ে চলেছে। কিন্তু জাতিসংঘ সম্মেলনে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বনেতারা।
‘আপনারা এখনো সত্যিকে সত্যি বলে স্বীকার করার মতো পরিপক্ক হয়ে উঠতে পারেননি। আপনারা আমাদের হতাশ করছেন। কিন্তু তরুণরা আপনাদের বিশ্বাসঘাতকতা এখন বুঝে যাচ্ছে।’
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপের দাবিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লাখো মানুষ বৈশ্বিক জলবায়ু আন্দোলনে অংশ নেয়ার দু’দিন পরই শুরু হলো জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর আলোচনা। আলোচনার উদ্দেশ্য বিশ্ব জুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে নতুন এবং কার্যকর কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।
কিন্তু গ্রেটা থানবার্গের দাবি, এই সম্মেলন থেকে আসলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন দ্রুত কমানোর জন্য কোনো নতুন পরিকল্পনাই আসবে না। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ুর ধ্বংসাত্মক বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই এ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কেননা বিশ্বনেতারা বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তারা।
‘আপনারা আমার স্বপ্ন ও আমার শৈশব আপনাদের ফাঁকা বুলি দিয়ে চুরি করে নিয়েছেন। সাহস কীভাবে হলো আপনাদের!’ বলেন এই কিশোরী।
‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবার চোখ এখন আপনাদের দিকে। আপনারা যদি ইচ্ছা করে আমাদের আশাভঙ্গ করেন তবে আমি বলছি, আমরা কখনো আপনাদের ক্ষমা করব না। আমরা আপনাদের পার পেয়ে যেতে দেবো না। এই মুহূর্তে, ঠিক এইখানে দাঁড়িয়ে আমরা সহ্যের সীমারেখা টেনে দিলাম।’
গ্রেটার ভাষণটি দেখুন গার্ডিয়ানের সৌজন্যে ভিডিওটিতে: