বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেছ না প্রযুক্তির সম্প্রসারণ।
কৃষি উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সময়োপযোগী ভূমিকা রাখছে না।
তারা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম এবং সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন।
রোববার ব্র্যাক সেন্টার ইনে “জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি: সুযোগ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষি এবং জীবন-যাপন কিভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ছে, এটা মোকাবেলায় কার কি করনীয় সে বিষয়ে কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরেন তিনি।
সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষকের কাছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং নতুন প্রযুক্তি পৌছে দেয়ার ওপর।
মুক্ত আলোচনায় কৃষি বিজ্ঞানী এবং উন্নয়ন কর্মীরা অভিযোজনে কৃষককে প্রস্তত করার কথা বলেন। ব্র্যাকের বীজ ও কৃষি উদ্যোগ বিভাগের প্রধান সুধীর চন্দ্র নাথ বলেন, রাইচ তো থাকবেই তার পাশাপাশি আমাদের খাদ্যাভাস বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে না পারি তবে একটা সংকট আসতে পারে।
কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষকের স্বাস্থ্যের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দেন কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
শাইখ সিরাজ বলেন, যে গতিতে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে সেই গতিতে আমাদের নতুন নতুন টেকনোলজির উদ্ভাবনহচ্ছে কিনা? সেই টেকনোলজিটি ততো দ্রুত গতিতে কৃষকের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা? গুটি ইউরিয়াতে প্রমাণ হয়েছে যে, গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার করলে ঐ জায়গায় ২৭ কেজিতে এক বিঘায় ব্যবহার করতে পারেন। তারপরও এগুলো হয় না কেন?এ গল্প অন্য জায়গায়।
তিনি আরো বলেন, এডব্লিউডির গল্প অন্য জায়গায়। আমি ব্যাককে এ কথাটা অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে বলবো যে, আপনারা নতুন একটা ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেন। সেটা ‘ফারমার্স হেলথ’। কৃষকের স্বাস্থ নিয়ে কী আমরা কথনো ভেবেছি। আমি ‘হেল্প’ বলতে পেশার সমস্যার কথা বলছি।
কৃষির উন্নয়নে নতুন প্রযুক্তি মাঠে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর পিছিয়ে রয়েছে স্বীকার করেন বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক।
বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর যদি না থাকে তবে পাবলিক সেক্টরের পক্ষে কোন টেকনোলজি মাঠে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। যেখানে শুধু পাবলিক সেক্টর কাজ করছে সেখানেই শুধু আমরা পিছিয়ে আছি। আবার যেখানে পাবলিক প্রাইভেট কাজ করছে সেখানে এগিয়ে আছি।
কৃষি বিষয়ে চ্যানেল আইয়ের প্রামান্য অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ সঙ্গে ব্র্যাক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় বলে জানান ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আসিফ সালেহ।