যারা কর্মের সামাজিকতা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। সামাজিকতার সামাজিকতা নয়। কর্মের সামাজিকতা আত্মার বন্ধন তৈরী করে, সামাজিকতার সামাজিকতা অহেতুক কর্তব্য, অযৌক্তিক দাবি, অনাহুত অধিকার নিয়ে আমাদের কর্মকুশলতার পথরোধ করে দাঁড়ায়।
কর্মের মধ্য দিয়ে পরস্পরে আত্মার সম্পর্ক তৈরী হয়। এই সম্পর্কের পাটাতন সামাজিক কর্মকুশলতায়। সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে আত্মাহুতি দেয়া জীবন মোমের মতো জ্বলে কর্মের উজ্জ্বলতায় শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা ও প্রাপ্তির আনন্দে অনাবিল হয়। ফুলে ফসলে ভরে যায় ধরিত্রী। মহাকালের স্রোতে জীবন ছোট।
অহেতুক সামাজিকতা সময় নষ্ট করে জীবনকে আরো ছোট, আরো ক্লীশে করে দেয়। কর্মের সামাজিকতায় জীবন দারুণ দীর্ঘ, অনন্ত প্রসারিত, দুরন্ত গতিময়।
শীলভদ্রের মতো স্থির বলে অনেক বেশি ফলদায়ী ও পূর্ণতার দিকে ধাবমান। পূণ্য প্রাণ কর্ম-সামাজিকতার মধ্য দিয়ে একটি হৃদয়ে ধারণ করে হাজারো হৃদয়। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ক্লান্তিহীন যাত্রা, অফুরান আশাবাদ, গভীর দার্শনিকতা আমাদের চলার পথের নিত্য পাথেয়।
পূর্ণ আশির দিনে শুভেচ্ছা। আপনার সুস্থ স্বাস্থ্য, দীর্ঘ জীবন কামনা করি।আপনার হাসিমুখে সহজ কথা ও গভীর জীবনবোধ আমাদের প্রতিদিন উন্নত জীবনের স্বনার্লী পথে চলার শক্তি, সাহস ও দৃঢ়তা যোগায়।
আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা। কর্মকুশলতার অগ্রপথিক আপনাকে অভিবাদন।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)