প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আমি বের হলে ট্রাফিক সিগন্যাল আটকে রাখা হয়, তাই মানুষের কথা চিন্তা করেই শুধু অফিস এবং কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। এসময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর যানজট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে এবং করবে তা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এসময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
দীর্ঘক্ষণ ট্রাফিক সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা আটকে রাখার বিষয় নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: কোনো রাস্তা যেন দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা না হয় সেই নির্দেশ তিনি দেবেন।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: মাদক নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বিভিন্ন স্থানের অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
সরকার গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন: মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ এবং প্রচারণা চালানোর ফলে একটা ফল সকলেই বুঝতে পেরেছে। মাদক গ্রহণ এবং পরিবহন করা যে একটা অপরাধ সে সম্পর্কে জনগণ এখন যথেষ্ট সচেতন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তারা সচেতন হয়ে আত্মসমর্পণ করছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মধ্যে যারা মাদকাসক্ত তাদের আমরা চিকিৎসা-কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করছি।
এছাড়াও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রণোদনার ব্যবস্থাও থাকছে বলে সংসদকে জানান সংসদ নেতা।
তিনি বলেন: তাদের (আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ী) পরিবারকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারা যেন এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে নতুন কিছু করতে পারে তার জন্য আমরা আর্থিক সহায়তা দেবো। ইতোমধ্যে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদক ব্যবসা ছেড়ে তারা যেন অন্য যেকোনো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এসময় মাদক নিরাময়ে ৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০টি, মাদক প্রবণ জেলায় ১০০টি এবং অন্যান্য জেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।