রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় নিহত তিনজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। তবে নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে কোন কিছুই জানা যায়নি।
অভিযানের পরিচালনায় থাকা র্যাব-৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন: চর অঞ্চলটিতে র্যাব দীর্ঘদিন থেকেই জঙ্গি আস্তানা বিষয়ে কাজ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আস্তানা থেকে যে তিনজন নিহত হয়েছেন, তারা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ছিল।
এসব চরাঞ্চলে দুটি কারণে জঙ্গিরা আস্তানা স্থাপন করে জানিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন: চরাঞ্চল হওয়ায় অপরাধ ও জঙ্গি কার্যক্রম শেষ করে এখানে অপরাধীরা ঘাঁটি বানায়। এছাড়া এখানে লোকজনের চলাফেরাও কম।
আরেকটি হচ্ছে, বর্ডার ঘেঁষা অঞ্চল হওয়ায় এখানে জঙ্গি ট্রেনিং করার আদর্শ স্থান। র্যাবের অভিযানে নিহত সকলের এরকম পরিকল্পনা থেকেই এই চরাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছিল বলেও জানান তিনি।
তবে রাজশাহীর গোদাগাড়ির চর আলাতুলির বাসিন্দারা জানতেন না এখানে জঙ্গিদের আস্তানা রয়েছে। চর আলাতুলির বাসিন্দা বশির মিয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এখানে জঙ্গি আস্তনা আছে সেটা জানতাম না। কয়েকদিন ধরেই এই বাড়িতে লোকজন আসা যাওয়া করতে দেখতাম, আমরা জানতাম এনজিও’র লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছে।
জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম বেশ কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল জানিয়ে কাশেম আলী বলেন: ভোরে ও রাত বিরাতে এখানে লোকজনের যাতায়াত করতে দেখতাম। তাদের আচার আচরণ সন্দেহজনক ছিল।