চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তিতে ঝুঁকি নেই বরং একে লাভজনক হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চীন কখনও ‘রাজনীতি ও অর্থনীতি’কে গুলিয়ে ফেলে না। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকে দু’ দেশের জন্যই ‘লাভজনক’ মন্তব্য করে তারা বলেছেন, বড় অঙ্কের চীনা বরাদ্দের বেশিরভাগই উন্নয়ন খাতে রাখতে পারা সরকারের ‘কূটনৈতিক সাফল্য’। তবে আলোচনার তালিকায় গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকায় হতাশাও আছে তাদের।
ঘোষিত প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার ৪শ চল্লিশ কোটি টাকার চীনা সহযোগিতার বেশিরভাগই এসেছে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের জন্য। একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কাজে লাগাতে পারলে এ থেকে অনেক প্রাপ্তির সুযোগ আছে।
চীনের সঙ্গে ‘দেওয়া-নেওয়া’র খেলাটা বাংলাদেশ ভালো খেলছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির টপ-লিডারদের ভালোই সামাল দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন প্রয়োজন উন্নয়ন কার্যক্রম ঠিক পথে পরিচালনা।
আস্থা এবং সমর্থনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ঢাকা সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে
‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ একমত হয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী
বছরকে ঘোষণা দিয়েছেন ‘বিনিময় ও বন্ধুতা’র বছর হিসেবে। তার এই বন্ধুত্বের বার্তাকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন
কুটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ একে দেখছেন ‘কূটনৈতিক অর্জন’ হিসেবে।