চিকিৎসা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ পরিকল্পনা অনুসারে, ওই ১০ বছরে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবায় যতজনকে দরকার, ঠিক ততজন শিক্ষার্থীই মেডিকেল শিক্ষায় নেয়া হবে।
এছাড়াও স্নাতকোত্তর শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী দেশ ও দেশের বাইরে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
তবে স্বাস্থ্যখাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা ও নিয়োগে দেশের বাইরে থেকে লোক নেয়ার সুযোগ সেই পরিকল্পনায় রয়েছে কিনা, এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
সৌদি কমিশন ফর হেলথ স্পেশালটিজ (এসসিএইচএস) আয়োজিত মেডিকেল ওয়ার্ক ফোর্স কনফারেন্স-এ এসব কথা বলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. তাওফিক বিন ফাওজান আল-রাবিয়াহ।
ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌদি সাম্রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীদের কর্মকাণ্ডের মান উন্নয়নের জন্য এসসিএইচএস-এর প্রশংসা করেন।
তারপর বলেন, সৌদিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশাজীবীদের দক্ষতা বাড়াতে তার মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তারই নতুন সংযোজন হিসেবে হাতে নেয়া হয়েছে এই ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা।
আল-রাবিয়াহ বলেন, বিভিন্ন কর্মশালার মধ্য দিয়ে সৌদির চিকিৎসা খাতে জনশক্তি বাড়াতে কমিশন অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি সরকারের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যতজন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী প্রয়োজন, আগামী ১০ বছর সেই চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষার্থীদের স্নাতক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। এরপর যে যেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাকে তার যোগ্যতা অনুসারে সেই বিষয়ে দেশে বা দেশের বাইরে পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াও সদ্য পাশ করা গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান নিয়েও আলোচনা হয় ওই সম্মেলনে। এসসিএইচএস সেখানে তাদের সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে পাঁচটি খাতে জনশক্তি নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছে। এগুলো হলো- জেনারেল মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি, ডেন্টাল মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জারি, ফার্মাসি, অ্যাপ্লায়েড মেডিকেল সায়েন্সেস এবং নার্সিং।
সম্মেলনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিতে আগ্রহীদের জন্য ভর্তুকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সৌদি আরবের শ্রমবাজারে চিকিৎসা খাতে আসলে কী পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি দরকার, তা জানার জন্য সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে সমন্বয় সাধনে একটি জাতীয় কমিটি গঠন প্রয়োজন।