বাজারে হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাংসদের তোপের মুখে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সংসদ সদস্যদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা এবং শৃঙ্খলার অভাবেই চালের দাম বেড়েছে। তবে এসব অভিযোগের বিপরীতে মন্ত্রী বলেছেন, কৃষকরা যাতে সঠিক মূল্য পায় সেজন্যই আগেভাগে আমদানি শুল্ক কমানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এই দাবি করেন।
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী রাজনীতিতে সফল হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছেন। তার মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলার অভাবে চালের দাম বেড়েছে।’
নিজেকে কৃষক দাবি করে ফিরোজ রশীদ বলেন, হাওরে ফসল নষ্ট হওয়ার ফলে সংকট হওয়ার কথা কার্তিক মাসে। কিন্তু এখনই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমদানি শুল্ক আরও আগে কমানো হলে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর সুযোগ পেতেন না।’
জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চালের দাম বাড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন সংকট নেই।
তিনি বলেছিলেন, গত এপ্রিলে আমদানি শুল্ক কমানোর আবেদন করলেও সেটি তখন করা হয়নি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন কৃষকদের বাঁচাতে হবে। তাদের উৎপাদন খরচ উঠে আসতে হবে। কিন্তু তখন শুল্ক কমালে চালের দাম কমে যেত, এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হতো।
এসময় সাংসদ রওশন আরা মান্নান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পচা গম কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার খাদ্য মন্ত্রণালয় যে চাল ও গম সংগ্রহ করছে, তার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না। কেননা এবার ‘সাড়ে ১২ প্রোটিনের’ গম আমদানি করা হচ্ছে, এর বাইরে কোনো গম আনা হবে না।