চট্টগ্রাম থেকে: শুরুতেই ম্যাচের আধিপত্য নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টিসি স্পোর্টসের জালে দিয়েছে এক হালি গোল। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সও মন ভরাতে পারছে না চট্টগ্রামের কোচ মারুফুল হককে। গোল হওয়ার চেয়ে গোল হারানোর সুযোগগুলো পোড়াচ্ছে তাকে।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শনিবার গ্রুপ ‘এ’তে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিযোগিতাটির প্রথম চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের আগে দুই সেরার কথায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস থাকলেও বাস্তবে দেখা মিলল উল্টোটা। শুরু থেকেই এলোমেলো খেলেছে টিসির খেলোয়াড়রা। বিপরীত চিত্র স্বাগতিকদের খেলায়। তাতে ১০ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল আদায় করে ছড়ি চট্টগ্রামের হাতে।
এরকম একপেশে খেলায় খুশি হওয়ার চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিলল গম্ভীর মুখের মারুফুল হকের। প্রতিদ্বন্দ্বিতা চেয়ে টিসির বেহাল খেলা মন ভরায়নি তার। তারচেয়েও বড় কথা চার গোল দিলেও ঠিকই একটি গোল হজম করতে হয়েছে তার দলকে। ক্লিনশিট ধরে রাখতে না পারায় বেশ হতাশ পেশাদার লিগে আরামবাগকে কোচিং করানো এ কোচ।
‘যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা জিতেছি। তবে সেটা আশানুরূপ ছিল না। আমাদের ছয়জন খেলোয়াড় অনেক দেরিতে যোগ দিয়েছে। তাদের মাঝে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে পরের ম্যাচে সেই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার।’
‘অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলাম। কারণ তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।’ সোজাসাপ্টাই বলেন মারুফুল। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমাদের অনেকগুলো কাউন্টার অ্যাটাক হাতছাড়া হয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাকগুলোতে গোল হতে পারতো।’
চট্টগ্রামের পরবর্তী ম্যাচ ২২ অক্টোবর, লাওসের দল ইয়ং এলিফেন্টের বিপক্ষে। মারুফ ম্যাচটা জিততে চান ঠিকই সঙ্গে পা রাখতে চান মাটিতেও। সেই ম্যাচটা জিততে পারলেই এমন নয় যে নিশ্চিত হয়ে যাবে সেমিফাইনাল। এ চিন্তা মাথায় রেখেই আপাতত ম্যাচ বাই ম্যাচ আগানোর ভাবনা চট্টগ্রামের আকাশী-নীলদের কোচের।