আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও বিদ্যুতসহ সব খাতে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। নতুন দাম ঘোষণার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগেই নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের বিরোধিতার পরও দাম সমন্বয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বিইআরসি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এই এক্সাইটমেন্ট যেন সাধারণ মানুষকে কোন রকম বিব্রত না করে তারা যেন কোন সমস্যায় না পড়ে। বাড়িতে যারা গ্যাস ব্যবহার করেন, অল্প খরচে ট্রাসপোট ব্যবহার করেন সেই যায়গাতে যেন কোন ইফেক্ট না পড়ে। সেই বিষয়ে আমার একটা দাবি থাকবে। প্রচুর পরিমাণে সরকারের ভর্তুকি আসবে। সারা বিশ্বে দাম বেড়ে গেছে। সেই যায়গা থেকে আমাদের যদি সাশ্রয়ী করা য়ায় তাহলে আমাদের জন্য সহনীয় হবে।
শেষ পর্যন্ত গ্যাসের দাম বাড়ানোই হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার দুর্ভোগ কিংবা শিল্পের উৎপাদন কমে যাওয়া কোন কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।ভর্তুকি কমাতে দাম বাড়াতে হচ্ছে বলে দাবি সরকারের।
কর, সিস্টেম লস আর দুর্নীতি কমালে ভর্তুকি সমন্বয় সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দাম বাড়ালে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
চালসহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সাথে গ্যাসের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার খরচ কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে শঙ্কিত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।