ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানে অলআউট করে গ্যাবা টেস্টে ব্যাটিংয়েও ছড়ি ঘোরাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সাড়ে তিনশর কাছে রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন কামিন্সরা। ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন ওয়ার্নার। ১১২ রানে অপরাজিত আছেন ট্রাভিস হেড।
ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রানে বৃহস্পতিবারের খেলা শেষ করেছে অজিরা। হাতে তিন উইকেট আছে, সুযোগ থাকছে সংগ্রহ আরও বড় করার।
ইংল্যান্ডের চেয়ে ১৯৬ রানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ৯৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কার মারে ১১২ রানে অপরাজিত। মিচেল স্টার্ক ২৪ বলে এক চারে ১০ রানে তৃতীয় দিনে নামবেন।
অজিদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ওলি রবিনসনের বলে ৩ রানে মালানের হাতে জমা পড়েন মার্কাস হ্যারিস। স্বাগতিকদের রান তখন ১০।
দ্বিতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেন ও ডেভিড ওয়ার্নার ১৫৬ রানের জুটি দেন। ১৭ রানে স্টোকসের বলে বোল্ড হয়েও নো-বলের সৌজন্যে বেঁচে যান ওয়ার্নার।
লাবুশেনের আউটে জুটি ভাঙে। জ্যাক লিচের বলে পয়েন্টে উডের তালুবন্দি হন লাবুশেন, ১১৭ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৭৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস তার।
ইনিংস বড় করতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। ১২ রানে উডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।
ডেভিড ওয়ার্নার দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ পুড়তে হয়েছে। রবিনসনের স্লোয়ারে চিপ শট খেলতে গিয়ে স্টোকসের হাতে জমা পড়েন। ফেরার আগে ১৭৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৯৪ রান করে যান।
ক্যামেরন গ্রিনকে শূন্য রানে ফেরান রবিনসন। ১৯৫ রানে ৫ উইকেট হারায় অজিরা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আবারও প্রতিরোধ। এবার অভিষিক্ত অ্যালেক্স ক্যারি ও ট্রাভিস হেড, দুজনে যোগ করেন ৪১ রান।
ওকসের শিকার হওয়ার আগে ক্যারির অবদান সবে ১২ রান। আরেকপ্রান্তে মারকুটে মেজাজে ব্যাটিং চারীয়ে যান হেড। সঙ্গ পান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। নিজে কেবল ১২ রান করলেও সপ্তম উইকেটে হেডের সঙ্গে ৭০ রানের জুটিতে ভূমিকা রাখেন।
কামিন্সের আউটের পর ৮৫ বলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। দিনের শেষভাগে তাকে সঙ্গ দেন মিচেল স্টার্ক।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রবিনসন দিনের সেরা। একটি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন ক্রিস ওকস, মার্ক উড, জ্যাক লিচ ও জো রুট।