গুলি করে কর্মচারী হত্যা ঘটনায় ঘরোয়া হোটেল মালিক সোহেলকে অভিযুক্ত কয়েক দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশীট দেবে পুলিশ। সোহেলকে গ্রেফতার করা না গেলেও ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে দেয়া ১৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরন ও শক্ত তথ্য প্রমান সংগ্রহ করার দাবি পুলিশের।
টাকা ও মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে এক কিশোর কর্মচারীকে দিনভর বেঁধে রেখে রাতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ওয়ারী থানায় মামলা দায়েরের আগেই গা ঢাকা দেন ঘরোয়া রেষ্টুরেন্ট মালিক সোহেল। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া আলামত এবং প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমান সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এখনও পলাতক রয়েছে সোহেল।
ওয়ারী অপরাধ বিভাগের ডিসি সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন,‘সোহেল যে খুন করেছে এমন ১৫ জন সাক্ষী আমাদের কাছে আছে যারা ঘটনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছে। এমনটি গুলি করার পর সোহেলের গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া পুলিশের কাছে সিসি টিভির ফুটেজ সহ অপরাধ প্রমানের সব ধরনের আলামত রয়েছে। সাক্ষীরাও ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে। তাই সোহেলকে যদি আটক করা সম্ভব নাও হয় তবুও অভিযোগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের কোন বাধা নেই।’
তাকে পুলিশের অভিযান এবং বিভিন্ন সীমান্ত ও বন্দরে সতর্কতা জারীর পরও আটক করা যায়নি সোহেলকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমাদের ধারনা সোহেল দেশেই আছে। কেননা প্রথম দিন থেকেই এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে স্থলবন্দর গুলোতে আমরা সতর্ক করে রেখেছি। তা তার দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।’
সোহেলকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও ব্যলাষ্টিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা গেলে আরও শক্ত প্রমান সংগ্রহ করা যেতো বলে মনে করেন তদন্তকারীরা।