বড় বড় কথাবাজি নয়, বরং বড় বড় কাজ করে নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গণমানুষ আর গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক।
সেসময় নাগরিক অসুবিধার নানা দিক তুলে ধরে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে মেয়রের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে গণমাধ্যম।
আট মাস পূর্ণ করেছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। অল্প সময়ে নগর আর নগরবাসীর জন্য কি কি করেছেন তার এক ঝলক তুলে ধরেন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে মতবিনিময় সভায়।
নাগরিক অসুবিধার নানা দিক চিহ্নিত করে বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন অতিথিরা।
চ্যানেল আইয়ের হেড অব নিউজ শাইখ সিরাজ বলেন, ঢাকা শহরের অবস্থা এমন যে ১০ মিনিট বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহর পুরো অচল হয়ে যায় সেটা এখানে উঠে আসেনি। আপনি আলাদা সাইকেল লেনের কথা বলেছেন, সবুজ ঢাকার কথা বলেছেন। সেসব ভালো উদ্যোগ। ঢাকার উপর দিয়ে যখন প্লেন যায় তখন এটাকে একটা ইট-পাথরের শহর মনে হয়।
ফাহিম মুনায়েম বলেন, আপনি যে ধরনের ছবি আমাদের দেখালেন তেমন ঢাকাতেই আমরা বাস করতে চায়।
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অন্যান্য পুলিশের কথা বলছেন সেটা ভালো। কিন্তু মূল পুলিশ যদি সহায়তা না করে তাহলে কিন্তু অন্যরা কাজ করতে পারবে না।
জ. ই. মামুন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকেও আমাদের অনেক গুরুত্ব দিতে হবে। ঢাকা শহরের মানুষের মধ্যে দিনে ও রাতে নানান রকমের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে।
হতশ্রী ঢাকার শ্রী ফেরাতে সবুজ ঢাকার পরিকল্পনার কথা বলেন মেয়র।
জানান, অল্পদিনের মধ্যে তিন হাজার নতুন বাস নামবে। তিন মাসের মধ্যে দেয়াল লিখন বন্ধ না হলে কঠোর আচরণের কথাও বলেন তিনি।
পরিবেশ পুলিশের প্রস্তাবও রাখেন মেয়র আনিসুল হক। বলেন, সরকারের কাছে আমি আপিল করবো আমাদের ১০০-১৫০ পুলিশ দেওয়ার জন্য, পরিবেশ পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে দেয়ালে আমরা লিখবোও না পোষ্টারও লাগাতে দিবো না। আমরা ভালো আচরণ করছি। আগামী দুই-তিন মাসে সবাই নিজেদের কন্ট্রোল করবেন এরপরে আমরা বেশ কঠোর হয়ে যাবো।
কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে না নেওয়ার পেছনে যড়যন্ত্র থাকলেও ধীরে ধীরে সেই চক্রের বরফ গলতে শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।