বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংবিধান সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগের পাশেই থাকবে ভারতের সরকারী দল বিজেপি। গনতন্ত্র ও স্বাধীনতার নামে জ্বালাও-পোড়াও সমর্থন করবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
বাংলাদেশ-ভারত সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের কাছে তিস্তার পানি বন্টন এবং পদ্মা ব্যারাজ নির্মানে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সাম্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সবগুলো নদীগুলোর পানি বন্টন; সড়ক, নৌ ও রেলপথসহ দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দিনের সেমিনার শুরু হয়েছে ঢাকায়। ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের আমন্ত্রনে এই সেমিনারে যোগ দিতে এসেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদকসহ সাবেক-বর্তমান কূটনীতিকরা।
সেখানেই অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক। বললেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি কোন অন্যায্য আচরন করবে না তার দেশ।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর প্রচেষ্টা শিক্ষণীয়। এদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য তার প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী পানি বন্টন এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতা চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, দুই দেশের মধ্যকার জল এবং স্থল সীমান্ত সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে। যা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা, সুসম্পর্কের উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত পদ্মা নদীর উপর ব্যারেজ নির্মাণে ভারত সহযোগিতা করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনের ন্যায্যতার বিষয়টিও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতকেও দুঃশ্চিন্তা মুক্ত রাখার আশ্বাস দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে সবসময়ই কঠোর অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ।