বুধবার দুপুরে যখন মুম্বাই হাইকোর্ট নির্দেশনা জারি করেন, ঠিক তার আগেই ভেঙে রীতিমত গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের অফিস। তবে শঙ্কিত নন বলিউডের এই কুইন। ভিডিও পোস্ট করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে হওয়া পুরো ঘটনাটিকে তিনি ‘গণতন্ত্রের অপমৃত্যু’ বলেও উল্লেখ করেন।
মহারাষ্ট্র সরকারের সাথে গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। এর মাঝেই বুধবার বিএমসি ভেঙে গুড়িয়ে দিল কঙ্গনার অফিস। কঙ্গনার দাবি বিএমসির এই কাজ বেআইনি কারণ তার অফিসে কোনও অবৈধ কাঠামো ছিল না।
মুম্বাইতে পা রাখবার ঘন্টা খানেদের মধ্যে টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কঙ্গনা। ‘গণতন্ত্রের অপমৃত্যু’- হ্যাশ ট্যাগে এমন কথা উল্লেখ করে নিজের ভাঙা অফিসের একাধিক ভিডিও ও ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী।
অন্য আরেকটি ভিডিওতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ক্ষুদ্ধ কঙ্গনা বলেন, উদ্ধব ঠাকরে তোর কী মনে হয়? তুই ফিল্ম মাফিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ঘর ভেঙে আমার থেকে প্রতিশোধ নিলি? সময়ের চাকা ঘুরবে। তুই আজ আমার ঘর ভেঙেছিস, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।
तुमने जो किया अच्छा किया ?#DeathOfDemocracy pic.twitter.com/TBZiYytSEw
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020
তীর্যক মন্তব্য করে কঙ্গনা বলেন, আমি আজ উপলব্ধি করতে পারলাম যে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে কী ঘটেছিল। আমি আজ আমার দেশবাসীকে কথা দিচ্ছি আমি শুধু অযোধ্যা নয় কাশ্মীর নিয়েও ছবি তৈরি করব এবং দেশবাসীকে সচেতন করব। উদ্ধব ঠাকরে, এটা ভালো হল যে এই নৃশংস কাজ, এই সন্ত্রাস আমার সঙ্গে ঘটল।
এর আগে ‘ভাঙা যাবে না কঙ্গনা রানাউতের অফিস’-বুধবার দুপুরে এমনই রায় দেয় মুম্বাই হাইকোর্ট। বিএমসিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার মধ্যে অভিনেত্রীর পিটিশনের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সময় বিচারপতি এসজে কাথাওয়াল্লার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ফের শুরু হবে।
এদিকে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি জানিয়েছেন, বিএমসির বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল কেস দাখিল করবেন কঙ্গনা।