লেস্টার সিটির মাঠে চলছিল এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ। দ্বিতীয় সারির দল নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করেছিল শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা স্বাগতিকরা। কিন্তু প্রথমার্ধে ফরেস্টের দশ মিনিটের ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
সিটি গ্রাউন্ডে শিরোপা পথে এগোনোর ম্যাচে ২৩ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকে দুদল। পরে সফরকারীদের রুদ্রমূর্তি দেখে ব্রেন্ডন রজার্সের শিষ্যরা। ২৩-৩৩ মিনিটের মধ্যে তিনবার জালে বল পাঠিয়ে উদযাপনে মাতে ফরেস্টরা। নিজের দলের সেই অসহায়ত্ব গ্যালারিতে বসে মানতে পারেননি লেস্টারের এক উগ্র সমর্থক। মেজাজ হারিয়ে ঘটিয়ে বসেন লঙ্কাকাণ্ড!
ম্যাচের ২৩ ও ২৪ মিনিটে ২-০ গোলে লিড নেয়ার পর ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন জো ওয়ারেল। ফরেস্ট অধিনায়ক ম্যাচ নিজেদের নাগালে এনে সতীর্থদের নিয়ে মাতেন বাঁধভাঙা উল্লাসে। তখন গ্যালারি থেকে ছুটে আসেন ওই সমর্থক। উদযাপনের মাঝেই ফরেস্ট খেলোয়াড়দের মারতে থাকেন ঘুষি। স্টুয়ার্ডরা কোনোরকমে মাঠের বাইরে টেনে নেয় সেই সমর্থককে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
লেস্টার শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে নিজেদের সমর্থকের উগ্র আচরণে ক্ষমাও চেয়েছে। একইসঙ্গে ওই সমর্থককে আজীবনের জন্য মাঠে আসায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিজেরা নিরাপত্তা জোরদার করতে না পারায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। জানিয়েছে, আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতে সব সাহায্য করবে ক্লাব।
নটিংহ্যাম পুলিশের প্রধান পরিদর্শক নিল উইলিয়ামস সেই সমর্থককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বলেছেন, ‘নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে লেস্টার সিটির এফএ কাপের রোববারের ম্যাচে প্রথমার্ধে ঘটে যাওয়া ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ঘটনার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে।’
ইউরোপিয়ান ফুটবলে মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া, খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বোতল বা কয়েন নিক্ষেপ করা— ঘটনাগুলো হরহামেশাই ঘটছে। প্রায়ই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে নিষেধাজ্ঞা এবং শাস্তি পাচ্ছে উগ্র সমর্থকরা। তবুও থামানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে করোনার সংক্রমণ ও বায়ো বাবলের ইস্যু যখন বিশ্বজুড়ে খেলা থামিয়ে দিতে হচ্ছে, তখনও এমন ঘটনাকে হতাশাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।