অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে বিবাদে জড়ানোর ঘটনায় বড় ধরনের শাস্তি পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটার। বিশ্বজয়ী দলের সদস্য তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রাকিবুল হাসান পেয়েছিলেন যথাক্রমে দশ, আট ও চার সাসপেনশন পয়েন্ট। আইসিসি জানিয়েছে জাতীয় দল, ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচ তাদের শাস্তির আওতায় পড়বে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (একটি টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টুয়েন্টি) খেলায় লাভ হচ্ছে তিন যুব ক্রিকেটারের। কেননা হৃদয়-শামীম-রাকিবুলদের উপর ম্যাচ খেলার যে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল, সেটি গণনা হচ্ছে বাংলাদেশের চলতি আন্তর্জাতিক সিরিজেই।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার কাওসার আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, ‘জাতীয় দলের ম্যাচ কাউন্ট হওয়ার কথা। আইসিসি মেইল করে জানিয়েছে জাতীয় দল, এ-দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ম্যাচ খেলার উপর তাদের নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আইসিসি এমনকিছু বলেনি যে তাদের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এটা সম্ভবও না। কয়েকটি ম্যাচে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়কে কোনো পর্যায়েই কেউ রাখবে না। বাংলাদেশের ম্যাচ বিবেচনায় আসবে এটি নিশ্চিত। তারপরও আমরা আইসিসিকে একটা ফিরতি মেইল করেছি বিস্তারিত জানতে চেয়ে। তারা এখনো উত্তর দেয়নি।’
পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে মাঠেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বাংলাদেশ ও ভারতের খেলোয়াড়দের মাঝে। ধাক্কাধাক্কিও হয়। ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাবরয় বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার ছাড়াও ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণুকে বিভিন্ন মাত্রার সাসপেনশন পয়েন্ট দেন। এক সাসপেনশন পয়েন্ট পেলেই কোনো খেলোয়াড়ের উপর একটি ওয়ানডে বা টি-টুয়েন্টি অথবা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নিষেধাজ্ঞা থাকে।