পরপর দুম্যাচে বলে বেদম মার খেয়েছেন! রশিদ খান সেটা পুষিয়ে দিচ্ছিলেন প্রায়! শেষ তিন বলে যখন হায়দরাবাদের দরকার ১৬, ছয় ও চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। শেষ বলে অবশ্য ছয় হাঁকাতে পারেননি। চেন্নাইয়ের কাছে সানরাইজার্সরা হেরেছে ৪ রানে।
হায়দরাবাদে শুরুতে বোলিং করে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস মন্থর শুরুর পর ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের বড় সংগ্রহই গড়েছিল। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে এসে আটকে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
নিয়মিত ওপেনার শেখর ধাওয়ান ফিটনেস ঘাটতিতে খেলতে পারেননি। সাকিবদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জটা আরও বড় হয়ে ওঠে রিকি ভূই রানের খাতা না খুলে ফিরে গেলে। দ্রুত মনিষ পান্ডে (০) ও দিপক হুদা (১) সাজঘরের পথ ধরলে বিপদ বাড়ে।
সেখান থেকে ম্যাচ জমিয়ে তোলার শুরু করেন সাকিব ও কেন উইলিয়ামসন। দুজনে ৪৯ রান যোগ করেন। সাকিব ২ চার ও এক ছক্কায় ১৯ বলে ২৪ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। উইলিয়ামসন পরে ৭৯ রান যোগ করেন উইসুফ পাঠানকে নিয়ে।
৫টি করে চার-ছক্কায় ৫১ বলে ৮৪ করে ১৮তম ওভারে সাজঘরে হাঁটা দেন উইলিয়ামসন। পরের পথটুকু টানছিলেন পাঠান। কিন্তু এক চার ও ৪ ছক্কার ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংসটি পরিণতি পায়নি। শেষ ওভারে রশিদ ৪ বলে অপরাজিত ১৭ করে চেষ্টা করেছিলেন, সেটিও পরিণতি পায়নি।
আগে চ্যালেঞ্জের মঞ্চটা চেন্নাই গড়ে সুরেশ রায়না ও আম্বাতি রাইড়ুর ব্যাটে। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৬২ রান তোলা দলটি এ দুজনার ব্যাটেই বড় সংগ্রহ পায়। দুজনের জুটি ১১২ রানের। রাইড়ু ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৯ রানের ঝড় তুলে থামেন। রায়না ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন সাকিব থাকেন উইকেটশূন্য। যাতে ডাবল ছোঁয়ার অপেক্ষাটা আরও বেড়েছে তার। টি-টুয়েন্টিতে চার হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে সাকিব অপেক্ষায় ছিলেন তিনশ উইকেট নিয়ে অসাধারণ ডাবলের রেকর্ড স্পর্শ করার।
টাইগার অলরাউন্ডার নিজের চার ওভারের কোটা পূরণ করার পথে এদিন বোলিংটা খারাপও করেননি। ডাক পান তৃতীয় ওভারেই। চার সিঙ্গেলে চার রানের ওভার করেন। পরের ডাকটি আসে সপ্তম ওভারে। এক ওয়াইড আর চার সিঙ্গেলে এবার খরচ পাঁচ রান।
১৩তম ওভারে আবারও বল হাতে পেলে দারুণ বোলিংটা ধরে রাখেন সাকিব। এই ওভারেই অবশ্য ইনিংসে নিজের প্রথম চারটি হজম করেন। মোট দেন ৯ রান।
নিজের কোটা পূরণ করতে এসে অবশ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। একটি করে ছয়-চারে বিলিয়েছেন ১৪ রান। সাকিবের মোট খরচ ৪ ওভারে ৩২ রান। সঙ্গে উইকেট না পেলে অধরা থাকে ডাবলের অর্জনটাও।
টি-টুয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট ও ৪ হাজার রানের অসাধারণ ডাবলের মাইলফলক গড়তে সাকিবকে হায়দরাবাদের পরের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। তার আগে একজনেরই আছে এই ডাবলের কীর্তি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোর, শনিবার যে জয়ী দলের কাতারে। ছোট ফরম্যাটে মিডিয়াম পেসে ৪১৬ উইকেট শিকারের সঙ্গে ব্যাট হাতে ৫,৬০৭ রান করেছেন এ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
টি-টুয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে আরও দুই বোলারের। ৩৪৮ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ৩২১ উইকেট আছে নিখাদ স্পিনার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যারিবীয় ক্রিকেটার সুনিল নারিনের।