এছাড়াও সৌদি আরবের ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে আরো গভীরভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার সৌদি আরব প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানায়, ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ‘‘ধস্তাধস্তিতে’’ খাশোগি নিহত হন।
কিন্তু সৌদি আরবের এই বক্তব্য সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সৌদির প্রতিবেদনে ‘‘গভীর উদ্বেগের’’ কথা জানিয়েছেন।
খাশোগির পরিবার ও স্বজনদের প্রতি শোক জানিয়ে দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্ত করার কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় কারা জড়িত তাও তদন্তের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা উত্তর না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট নই। এটা ‘‘সম্ভব” যে সৌদির ক্ষমতাধর ক্রাউন প্রিন্স এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু জানেন না।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সত্য ও বিস্তারিত সৌদি সরকারকে প্রকাশ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে তুরস্ক। এ ব্যাপারে কোন ধামাচাপা যুক্তি গ্রহণ করা হবে না বলেও জানিয়ে তারা।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন। খাশোগির মৃত্যুর যে কারণ বলা হয়েছে তাকে ‘‘অপর্যাপ্ত” উল্লেখ করে বিশদ ব্যাখা চেয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এই হত্যাকাণ্ডকে ‘‘একটি ভয়ানক কাজ” উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের ‘‘অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে’’ হবে বলে জানিয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভ লু দ্রিয় ঘটনার তদন্ত দাবি করে বলেছেন, ‘‘অনেক প্রশ্নরেই উত্তর দেয়া হয়নি।’’
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনজীবীসহ সৌদি আরবের কড়া সমালোচক রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, খাশোগি হত্যার প্রতিবেদন বিষয়ে তারা সান্দিহান।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জের ধরে অস্ট্রেলিয়াও চলতি মাসের শেষ দিকে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ বিষয়ক এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে।
পাশাপাশি খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। হত্যার বিষয়ে সৌদি তদন্তে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।