বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনেকগুলো রোগ রয়েছে জানিয়ে যেকোন সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্খিত কোন কিছু হলে তার জন্য সরকার দায়ী হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তারা।
সোমবার দুপুরে ‘সচেতন চিকিৎসা সমাজ’ এর ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা। এসময় তারা নিজেদের এই শঙ্কার কথা জানান।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন: ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। উনি বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত বহু বছর ধরে, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে। ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
‘‘জরাজীর্ণ পরিবেশ, একাকীত্ব এবং সরকারের মানুষিক নির্যাতনে তার রক্তের শর্করা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে অথবা কমে যেতে পারে, যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। ওখানকার অব্যবস্থাপনার মধ্যে এই পর্যবেক্ষণ কোনক্রমেই সম্ভব নয়। ফলে যেকোন সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। এজন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।’’
চিকিৎসকরা বলেন: খালেদা জিয়া একজন হার্টের রোগী। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ পরিবেশ এবং একাকীত্বের কারণে উনি যেকোন সময় একিউটর হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে তিনি চোখের অপারেশন করে ফিরেছেন। এ অবস্থায় ওনার চোখের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হাঁটু সংক্রান্ত রোগ জানিয়ে ডাক্তাররা বলেন: তিনি ৩০ বছর ধরে অষ্টিও আর্থাইটিস রোগে ভুগছিলেন, যা তার স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল এবং হাঁটুর ব্যাথায় ভুগছিলেন। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
এছড়া দ্রুত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম পাঠিয়ে তার শারীরিক অবস্থার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য তারা জোর দাবি জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক আহমেদ, ডা. হারুন উর রশিদ, ডা. শহিদুল আলম, ডা. গাজী আব্দুল হক, ডা. মোঃ আব্দুস সালাম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল।