নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা রিটের শুনানি নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে মঙ্গলবার এ আদেশ আসে।
আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির সৈয়দ রেফাত আহমেদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
তবে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির এ আদেশের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. ইকবাল কবির।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন: নিয়ম অনুযায়ী এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি বিষটি নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে খালেদা জিয়ার ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বাতিলের রায় রোববার বহাল রাখেন নির্বাচন কমিশন।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন কমিশনার খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তবে কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন।
এর আগে এই তিনটি আসনে জমা দেয়া খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
যেখানে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড থাকায় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।