পাথুরে খরস্রোতা নদীতে স্রোতের বিপরীতে নৌকায় চলার সময় রোমাঞ্চের সাথে খানিকটা ভয় নিয়ে সাঙ্গু নদী পাড়ি দিতে হয়। বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদর থেকে তিন্দু ইউনিয়ন হয়ে রেমাক্রি যাওয়ার পথে পর্যটকদের এমন দুঃসাহসী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়।
থানচি থানা এবং বিজিবি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়। পাহাড়ী নদী পথে চলার উপযোগী ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রা পথে দু’পাশে পাহাড়। মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে বয়ে চলা সাঙ্গু নদী। শিহরণ জাগানো অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে চলার পথে চোখে পড়ে পাহাড়ী মানুষদের জীবনের খণ্ডচিত্র।
পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা নদীর স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা নৌকা কখনও বড় বড় ঢেউয়ে দুলে ওঠে। চলার পথে তিন্দু বাজারে একটু বিরতি।
বিরতি শেষে আবারও চলা শুরু। দূরে দেখা মেলে বড় বড় পাথরের। ধীর হয়ে আসে নৌকার গতি। স্থানীয়দের কাছে এসব পাথর পরিচিত রাজা পাথর নামে। বিপজ্জনক হলেও সেই পাথরের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়া।
কোথাও কোথাও পানি কম থাকায় নৌকা থেকে নেমে পাথুরে পথে হেঁটে আবার নৌকায় চড়া। এভাবে চলতে চলতে কয়েক ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছানো। নাম রেমাক্রি ইউনিয়ন।