‘যে রকম আশা করেছিলাম, সেটা হয়নি। হয়তবা টেস্ট সিরিজটা জিততে পারতাম। সেটাও হয়নি। আমরা যেরকম পরিকল্পনা করেছিলাম, কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম, সেটা ঠিকঠাক হয়নি। সবচেয়ে বড় জিনিস, চাপটা নিতে পারিনি আমরা।’
কথাগুলো খালেদ মাহমুদ সুজনের। টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের আদলে যিনি আসলে হেড কোচের দায়িত্বই সামলাচ্ছেন জাতীয় দলের। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও টেস্ট সিরিজে বিপর্যস্ত পারফরম্যান্সের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে পাওয়া, না পাওয়া ও নানা ক্ষোভের কথা বলেছেন সাবেক এ অধিনায়ক। জাতীয় দলের সঙ্গে সামনে আর কাজ করতে চান না বলেও জানিয়েছেন।
টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য দলের অনুশীলন শুরুর আগে সোমবার মিরপুরে ক্ষোভ, আবেগের ঝড় তুলেছেন সুজন। কথা বলেছেন উইকেট প্রসঙ্গেও।
‘যদি উইকেটকে দোষ দিতে হয়, তখন আমাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আমরা পারি নাই। ক্যাচ ছেড়েছি। ৬ উইকেটে ১১০–এর পর ১৪০ রানে অলআউট করতে পারলে ৭০/৮০ রান কম হতো শ্রীলঙ্কার। দিলরুয়ান, আকিলা, লাকমাল বা আমাদের মিরাজের ব্যাটিং দেখেন; ওরা তো বোলার। সেখানে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কথা বললে, আমরা নিজেদের কাজটা করতে পারিনি।’
না পারার পেছনে অনেক কারণই থাকতে পারে। সুজনও কিছু কারণকে মেনে নিচ্ছেন, ‘আমরা ভাল খেলি নাই। জুজু, উইকেট নিয়ে ভয় বা নেতিবাচক চিন্তা, যেটাই হোক আমাদের মধ্যে কাজ করেছে। উইকেট একটা অজুহাত মাত্র। বোলিং–ব্যাটিংয়েই আমরা ভাল করতে পারিনি।’
এমনসব হারের পরও টিমের পরিবেশ ভাল আছে বলেই জানালেন সুজন। তবে দলে হতাশা গ্রাসের কথাও যেমন লুকলেন না, আশা রাখলেন সামনে এগোনোরও, ‘হারলে যেটা হয়, হতাশ হয়ে পড়ে। কেউই হারতে চায় না। এখন আমরা নতুন একটা ফরম্যাটে ঢুকতে যাচ্ছি। কিছু নতুন মুখ এসেছে। প্রথমবারের মতো কল পেয়েছে পাঁচজন। সব ভুলে পরের দুটি খেলায় মনোযোগ দিতে হবে, আমাদের ভাল খেলতে হবে।’