Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা: সিনেমার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে প্রার্থনারত মুসলমানদের ওপর বন্দুকধারীর হামলায় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের প্রতিক্রিয়ার ওপর একটি সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে হলিউডে। ছবির নাম ‘দে আর আস’। তবে নিউজিল্যান্ডে এই সিনেমা নিয়ে চলছে বিতর্ক ও সমালোচনা।

ছবিটি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হওয়ায় সিনেমা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন প্রযোজক ফিলিপ্পা ক্যাম্পবেল। ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি ছবিটি নিয়ে এত বিতর্ক সৃষ্টি হবে।

বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় প্রজেক্ট থেকে অব্যাহতি নিলেন এই প্রযোজক

ক্যাম্বলেন বলেন, “আমি সম্প্রতি সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের বিষয়ে শুনেছি। মানুষের মতামত জেনেছি। এখন বুঝতে পারছি যে এই ঘটনাটি নিয়ে সিনেমা তৈরির সিদ্ধান্ত পরিপক্ক নয়। আর তাই এধরনের কোনো প্রজেক্টের সাথে থাকতে চাই না।”

ছবিতে জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকায় অভিনয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী রোজ বার্ন এর। তবে যাকে নিয়ে এই সিনেমা, তিনি নিজেও নাখোশ।

ছবিতে জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকায় অভিনয়ের কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী রোজ বার্ন এর

জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, নিউজিল্যান্ড নিয়ে এই ছবি তৈরিতে অনেক বেশি তাড়াহুড়া করা হচ্ছে। আরও অনেক গল্প আছে যেগুলো নিয়ে সিনেমা তৈরি করা যেতে পারে। সেগুলোর মধ্যে আমারটা থাকা উচিত বলে মনে করি না।’

এই সিনেমা নিয়ে খুশি নন নিউজিল্যান্ডের হামলার শিকারদের পরিবারের সদস্যরাও। আয়া আল-উমারির ভাই হুসেন সেদিন প্রাণ হারিয়েছেন সন্ত্রাসীর হামলায়। এই সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো বলার মতো কোনো গল্প নয়।’

ন্যাশনাল ইসলামিক ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন এই সিনেমা তৈরি বন্ধ করার জন্য ৬০ হাজার মানুষের স্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন। তাদের মতে, ‘এই সিনেমায় ঘটনার শিকার এবং বেঁচে যাওয়াদের দুর্ভোগ না দেখিয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে একজন শ্বেতাঙ্গ নারীর ভূমিকাকে।’

ক্রাইস্টচার্চের মেয়র লিয়ানে ডালজিয়েল জানিয়েছেন, সিনেমার ক্রুকে তিনি নিজের শহরে স্বাগত জানাবেন না। তার মতে, সেটা একেবারেই উচিত হবে না।

২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর জাসিন্দা আরডার্নের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়

২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন। ঘটনার পর জাসিন্দা আরডার্নের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এই ঘটনায় ব্রেন্টন টারান্টকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ভাগ্যক্রমে হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান তারা।- বিবিসি

Exit mobile version