৬৪২ রানের এক ম্যাচ। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাল রঙ। ফল পেতে অপেক্ষা করতে হল শেষ বল পর্যন্ত। জিততে হলে হাঁকাতে হবে ছয় আর ড্র করতে চার। শাই হোপস বেছে নিলেন শেষটাই। তাতে ভারতের দেয়া ৩২১ রানের লক্ষ্যকে ছুঁয়ে রুদ্ধশ্বাস এক ‘টাই’ উপহার দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
বিশাখাপত্তমে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির ১৫৭ রানে ভর করে ভারতের দেয়া ৩২১ রানের লক্ষ্যকে শেষ বল পর্যন্ত তাড়া করে ‘টাই’ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টানটান উত্তেজনার এ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন শাই হোপস।
কোহলি এদিন ওয়ানডেতে দ্রুততম দশ হাজার রানের মালিক হয়েছেন। সঙ্গে ক্যারিয়ারের ৩৭তম শতকও তুলে নেন। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানোর পর দশ হাজার থেকে ৮১ রান দূরে ছিলেন কোহলি। রানের এই এলিট ক্লাবে পৌঁছাতে ২০৫টি ইনিংস খেললেন তিনি। শচীনের লেগেছিল ২৫৯ ইনিংস।
শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ১৪ রানের দরকার ছিলো ক্যারিবীয়দের। বোলিংয়ে উমেশ যাদব। প্রথম তিন বলে ৭ রান দিয়ে ম্যাচটা হাত থেকে প্রায় ফেলেই দিয়েছিলেন এ পেসার। কিন্তু চতুর্থ বলে অ্যাশলি নার্স অম্বাতি রায়ডুর হাতে ধরা পড়লে আবারও জমে যায় ম্যাচ। শেষ দুই বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার তখন ৭ রান। পঞ্চম বলে হোপস দুই রান নেয়ার পরও সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ বলে পাঁচ!
এর আগে ঘাড়ে জমে বিশাল রানের পাহাড়। তাড়া করতে নেমে ৭৮ রানের মধ্যেই ক্যারিবীয়দের ছিল না তিন উইকেট। এমন জটিল পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু তাদের। দৃশ্যপটে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শিমরন হেটমায়ার ও শাই হোপস।
গোহাটিতে ১০৬ রানের দারুণ এক ম্যাচ খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি হেটমায়ার। কিন্তু তাতেও যে দমে যাননি তার প্রমাণ বিশাখাপত্তমে বিশাল ৭ ছয় ও ৪ চারের সাহায্যে ৬৪ বলে ৯৪ রানের ঝলমলে ইনিংসটি। টানা দ্বিতীয় শতক হয়তো পেতেন, কিন্তু তা না পেলেও হোপসের সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাঁচানোর ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন তিনিই।
৩২ ওভারের মাথায় হেটমায়ার সাজঘরে ফেরেন। বাকি পথটা একাই দলকে টেনেছেন হোপস। অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের সঙ্গে ছোট-ছোট জুটি গড়ে ঠিকই পথে থেকেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তাতে পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় শতকের দেখাও। অপরাজিত থেকেছেন ১২৩ রানে।
আক্ষেপ একটাই; জয় পাননি!