এবার ৩ রানে ফিরেছেন কোহলি। গত পাঁচ ইনিংসে তিনবার দুঅঙ্ক ছুঁতে পারলেন না। যার মধ্যে একটি শূন্যও আছে। দুঅঙ্ক ছোঁয়া দুটি ইনিংসের একটি ১৯, অন্যটি ১৩৬ রানের। খুব খারাপ যাচ্ছে সময়টা, এমনও বলা যাবে না! আবার যখন সামনে আসছে ব্যক্তিটি ৭০ সেঞ্চুরির মালিক, টেস্টে যার ২৭টি, গড় ৫৫ ছুঁইছুঁই, তখন একটু ভাবনারও বটে। ভাবনাটা আরও বড় হচ্ছে যখন দেখা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভীষণ ধুঁকছে বিরাট কোহলি আর তার ভারত।
হোয়াইটওয়াশের হাতছানি, এমন চাপ নিয়ে শনিবার ক্রাইস্টচার্চে নেমেছে ভারত। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রথমদিনে আড়াইশর আগে অলআউট হয়ে গেছে তারা। ৬৩ ওভার ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ২৪২ তুলেছে সফরকারীরা।
দিনের শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথমদিন শেষ করেছে। ২৩ ওভার ব্যাট করে ৬৩ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন দুই টম, ল্যাথাম ও ব্ল্যান্ডেল। ল্যাথাম ২৭ ও ব্ল্যান্ডেল ২৯ রানে দ্বিতীয় দিনে নামবেন।
প্রথমদিনে আগের অংশজুড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের খাবি খাওয়া ও প্রতিরোধ চেষ্টার গল্প। মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৭) দ্রুত ফেরার পর পৃথ্বী শ ও চেতেশ্বর পূজারা হাল ধরেন। ওয়ানডে ঢংয়ে খেলে তরুণ পৃথ্বী ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ বলে ৫৪ করে যান।
ভাঙে ৫০ রানের জুটি। পূজারাকে রেখে পরে দ্রুত সাজঘরে হাঁটা দেন অধিনায়ক কোহলি (৩) ও আজিঙ্কা রাহানে। হনুমা বিহারিকে নিয়ে পূজারার পরের লড়াই সেখান থেকেই।
পূজারা-বিহারি জুটিতে আসে ৮১ রান। বিহারি ১০ চারে ৭০ বলে ৫৫ করে ফিরলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি সফরকারীদের। পূজারা ৫৪ করে তার পরপরই আউট হলে লেজের দিকের আসা-যাওয়া চলে। শেষদিকে মোহাম্মদ সামি ১০ ও জাসপ্রিত বুমরাহ অপরাজিত ১০ রান করলে আড়াইশর কাছে যায় সংগ্রহ।
ওয়েলিংটনে গত টেস্টে অভিষেকে আলো ছড়ানো ডানহাতি মিডিয়াম পেসার কাইল জেমিসন ৫ উইকেট নিয়ে কাজের কাজটা করেছেন। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট ২টি করে উইকেট নিয়ে অভিজ্ঞতার ঝলক রেখেছেন। বাকি উইকেটটি নিল ওয়াগনারের ঝুলিতে।