করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রায় ১৫ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরই মধ্যে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদেরকে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর সহযোগিতায় সরকার প্রদত্ত স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সকল জেলার সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের অর্ন্তভুক্তি করণের জন্য অফিসিয়াল চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, রেড ক্রেসিডেন্ট প্রশিক্ষিত এসব স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ পর্যায়ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রমে সহযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫০ জন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক কাজ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় কর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত মহড়ায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারের কোভিড-১৯ এই টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদেরকে প্রস্তুত করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে কাজ করবে।
তিনি আরও জানান, কোভিড-১৯ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইমাম জাফর সিকদার বলেন, এই টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ও সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামীতে এই সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে।