রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান কোন কর্তৃত্ববলে উপাচার্য পদে বহাল, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রাবি উপাচার্য, রাষ্ট্রপতি সচিব,শিক্ষা সচিব, রাবির রেজিস্ট্রারসহ ৮ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই এম আব্দুস সোবহানের ভিসি পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রাবির সাবেক শিক্ষার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম।
রুল জারির বিষয়ে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৭ সালের ৭ মে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান এম. আব্দুস সোবহান। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১(২) ধারা অনুসারে স্থায়ী (চার বছরের জন্য) নিয়োগের সুযোগ নেই।
এছাড়া ১১(২) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে কোনো শিক্ষককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারেন। তবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দিতে হলে ১১ (১) ধারা অনুসারে ৩ জনের প্যানেল থেকে একজনকে নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু এম আব্দুস সোবহানের নিয়োগের তা অনুসরণ করা হয়নি। এমন অবস্থায় আব্দুস সোবহানের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী সালমান ফিরোজ ফয়সাল রিট করেন। সে রিটের শুনানির পর আদালত রুল জারি করেছেন।