Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

‘কেরির সফর বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফর বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অান্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্যে কেরি ২৯ আগস্ট ঢাকায় আসছেন বলে নিশ্চিত করেছে মর্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, জন কেরির এই সফর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণে। প্রথমত, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক এবং দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে আসছে।

“সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো একজন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি সফরে আসেন, সেটাকে নিশ্চয়ই আমরা ইতিবাচকভাবে দেখব,’ বলেন তিনি, “এ পর্যায় থেকে সফরটি হচ্ছে, এটাই অনেক ভালো খবর।”

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা মনে করতে পারি – নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা, সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে একে অপরকে সহায়তা করা, আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা – এ সবগুলো বিষয়ই দ্বিপাক্ষিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ দু’দেশের দিক থেকেই নিজেদের মতো করে এর তাৎপর্য রয়েছে।’

কাজেই দ্বিপাক্ষিকতা এবং দ্বিপাক্ষিকভাবে লাভবান হওয়ার একটা সুযোগ এখানে রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।

আর যেহেতু এটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সফর, সেহেতু রাজনৈতিক পরিসরে নিজেদের মধ্যে প্রচুর আলোচনা ও পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করার সুযোগ একটি ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গণমাধ্যম সম্পর্ক বিষয়ক কার্যালয়ের পাঠানো বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়, বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে দু’দেশের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও গণতন্ত্র, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার ওপরেও তিনি জোর দেবেন।

এ সফর সম্পর্কে বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, “অনেকদিন ধরেই এই সফরের কথা চলছিল। বিভিন্ন কারণে তিনি আসতে পারেননি, এখন আসছেন। সফরে সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা হবে। সেজন্যই এখন প্রস্তুতি পর্ব চলছে।”

২৯ তারিখেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি ঢাকা থেকে ভারতের নয়াদিল্লি চলে যাবেন। সেখানে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তার সফর নির্ধারিত রয়েছে।

Exit mobile version