একতারা, দোতারা, ঢোল, খমক, খঞ্জনি আর বাঁশির সুরে এখন মুখরিত লালনভূমি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া। মরা কালিগঙ্গা নদীর তীরে লালন আখড়া বাড়িতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১শ’ ২৮তম তিরোধান দিবসকে ঘিরে চলছে ৩ দিনের স্মরণ উৎসব।
তাঁর গান আর জীবন-দর্শনকে তুলে ধরে প্রতিবারের মতো তিরোধান দিবসে লালন সাঁইকে স্মরণ করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন দিনের এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি।
উৎসবে বাউল পথ ও মতের দীক্ষাও নিচ্ছেন অনেকে। সহজ মানুষদের আত্মসুদ্ধির এ মহাসম্মেলনে বিদেশি বাউলরাও এসেছেন।
বাংলা ১২৯৭ সালের পয়লা কার্তিক ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধানের পর থেকে এ উৎসব করছেন তাঁর ভক্তরা।
লালনের মতবাদ প্রচার, তাঁর গান সংরক্ষণ এবং বাউলদের দেখভালে লালন একাডেমির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাউলরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে মানুষে মানুষে বিভেদ আর হানাহানি বন্ধে লালনাদর্শ প্রচারের প্রতি তাগিদ দিচ্ছেন লালন গবেষকরা।
গুরুবাদি এ মতাদর্শে গুরুর নির্দেশিত পথে সাধন-ভজন এবং রস আস্বাদনের সব পথই উন্মুক্ত। আর এ যজ্ঞ সম্পাদনের মধ্য দিয়ে সীমার মাঝে অসীম খুঁজে ফেরেন এ মতের অনুসারীরা।