দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৫২তম দিনে ৩৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৮৩২ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৮।
আজকের আগে সর্বনিম্ন ৩৬ জনের মৃত্যুর কথা গত ৯ জুন জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৬ হাজার ৮৭৮টি পরীক্ষায় দুই হাজার ৩২৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৬৫ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ পাঁচ হাজার ৮৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২ লাখ দুই হাজার ৭৯০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮৫৬ জনসহ মোট ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৭ জন হাসপাতালে (সরকারিতে ৩৫ জন, বেসরকারিতে দু’জন) ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৩২ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২২ হাজার ৭৮৪ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ২১০ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বাসায় ৭৬৬ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৬। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩১৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং নয় হাজার ৫১৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব আটজন ও আশি ঊর্ধ্ব ছয়জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে দু’জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে আটজন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন।বরিশাল বিভাগে কেউ মারা যাননি।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২২ কোটি ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৬ লাখ ২২ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটির বেশি।