কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩১তম দিনে দেশে ১৪৫ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৩ জন। গেল জুলাই মাসের ৩ তারিখে আজকের চেয়ে কম ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। আজ শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৪ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৬টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৫৭৪ জনসহ মোট ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৭৭ জন পুরুষ ও ৬৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৫৫ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১২৯ জন, বেসরকারিতে ২৬ জন) ও বাড়িতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৭৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২১ হাজার ২৫৯ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৮৭২ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বাসায় ৭১৪ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৯৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং আট হাজার ৬২৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৫৯ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২৮ জন, আশি উর্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই উর্ধ্ব ছয়জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ২৩ জন, রংপুর বিভাগে আটজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ৮৯ লাখের বেশি।