দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৯৯তম দিনে সাতজনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৪১ জন। আর শনাক্তের হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩০৬ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৯ হাজার ৯৫১টি পরীক্ষায় ৩০৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৬টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ৮২ হাজার ৫৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ২৮৮ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে সাতজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। তাদের মধ্যে সবার হাসপাতালে (সরকারিতে ছয়জন ও বেসরকারিতে একজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৪১ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৫ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৫৬ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৫ শতাংশ। বাসায় ৭৭৬ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত সাতজনের মধ্যে একুশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু’জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন ষাটোর্ধ্ব একজন ও সত্তরঊর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন ও খুলনা বিভাগে দু’জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৪ কোটি ৫৪ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৯ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২২ কোটি ২৪ লাখের বেশি।