ভারতের দিল্লীর নিজামুদ্দিন এলাকায় তবলিগ জামাতের মসজিদে অবস্থান নেয়া ৯ হাজার কর্মীর সন্ধান করতে পরেছে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে ১১০ জন বাংলাদেশিসহ ৯৬০ জন বিদেশী নাগরিক ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদ থেকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কর্মীদের খুঁজে বের করতে ও করোনা সংক্রমণের লাগাম দিতে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হওয়া দিল্লীর নিজামুদ্দিন এলাকায় ছয় তলা মারকজ ভবনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় প্রচারের উদ্দেশে এসে উঠেছিলেন বিদেশ থেকে আগত ৯৬০ জন কর্মী। তাদের অনেকেই এসেছিলেন করোনা আক্রান্ত ইরান ও কাজাখস্তানের মতো দেশ থেকে। ওই মারকজ থেকেই পরে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েন জামাত কর্মীরা। তাদের মধ্যে থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০০০ জামাতকর্মীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তবলিগ জামাতের জমায়েতে উপস্থিত থেকেছেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। এক কর্মকর্তার ভাষায়, ‘কার সঙ্গে কবে কোথায় কোন সংক্রামিত ব্যক্তির দেখা হয়েছিল, কে কার সংস্পর্শে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখা এককথায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ তবু লকডাউন জারি থাকায় এখনও পর্যন্ত কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে তবলিগ জামাতের ওই জমায়েতের অনেকে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধরাত রাতে তেলাঙ্গানায় আরও তিন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। দিল্লিতেও বৃহস্পতিবার নিজামুদ্দিন যোগ থাকা দু’জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।