দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় রাজধানীতে বসবাসরত জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টে পথচারীদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ও জার্মান রেড ক্রসের সহযোগিতায় ‘জরুরি কোভিড-১৯’ প্রজেক্টের আওতায় এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ জানায়, রাজধানীর ৫০টি ট্রাফিক পয়েন্টে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী এই জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি ৫০টি প্রতিষ্ঠানে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫০টি ট্রাফিক পয়েন্ট বা জনবহুল স্থানে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত একটানা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালায় রেড ক্রিসেন্টের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ (ফ্রন্ট লাইনার্স)। এসময় স্বেচ্ছাসেবকরা পথচারীরা মাস্ক না পড়ে থাকলে তাদের মাস্ক পড়িয়ে দেওয়াসহ তাদেরকে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রজেক্ট সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘জরুরি কোভিড-১৯’ প্রজেক্টের আওতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মাইকিং করা হবে। এছাড়াও এই প্রজেক্টের আওতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত ৬৫০ জন ও ৬টি হাসপাতালে কর্মরত ৩৫০ জনসহ ১০০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মাঝে কোভিড কিট বিতরণ ও প্রত্যেক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প কর্মকর্তা মো: সামসুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাই, আমরা সকলে নিজে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ি এবং অন্যদেরকেও উদ্ধুদ্ধ করি।